১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোটা আন্দোলনের নেতা রা‌শেদকে তু‌লে নেয়ার অভিযোগ

কোটা
রাশেদ খান - ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রা‌শেদ খানসহ দুইজনকে তু‌লে নেয়ার অভি‌যোগ পাওয়া গে‌ছে। আজ রোববার দুপুর পৌ‌নে দুইটায় ডি‌বি প‌রিচ‌য়ে তা‌দের তু‌লে নেয়া হয় ব‌লে আন্দোলনের আহ্বায়ক ও রা‌শেদ খা‌নের প‌রিবার সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে।

জানা যায়, দুপুরে মিরপুর ১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার মো‌ড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। এ সময় রা‌শে‌দের সা‌থে থাকা মাহফুজ খান নামে আরেকজনকে ধরে নেয়া হয়।

এ বিষ‌য়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও মাহফুজ খানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এসময় সাদা পোশাকের পুলিশ ছাড়াও পোশাকধারী পুলিশ ছিল বলে জানান তিনি।

জান‌তে চাই‌লে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া আলো বলেন, ‘রাশেদকে ডিবি পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তুলে নিয়ে গেছে বাসা থেকে। এ সময় তাকে অনেক মেরেছে।’ এ বলে কান্না করতে থাকেন তিনি।

রাবেয়া জানান, তিনি এখন থানায় জিডি করতে যাচ্ছেন।

এদিকে রা‌শেদ‌কে তু‌লে নেয়ার আগে ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষ‌য়ে কথা ব‌লেন রা‌শেদ। তা‌কে ধরার চেষ্টা করা হ‌লে তি‌নি পা‌লি‌য়ে বাসায় চ‌লে আসেন এবং পু‌লিশ সদস্যরা এসে দরজায় ধাক্কা‌চ্ছি‌লেন ব‌লেও অভি‌যোগ ক‌রেন।

আরো পড়ুন :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলা
আহত ১৫, শিক্ষক লাঞ্ছিত; ফের ছাত্র ধর্মঘট
চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছেন। এতে অন্তত ১৫ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারধরের সময় এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার থেকে দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই সাথে অবরোধ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা ও নিজেদের করণীয় সম্পর্কে জানানোর জন্য সংবাদ সম্মেলন ডাকে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নিতে শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দেয় ছাত্রলীগ। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিতে থাকে তারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আসেন আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকারের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হাসানসহ অনেকে। এ সময় সেখানে আগ থেকে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগ নেতারাও গ্রন্থাগারের ভেতরে আসা-যাওয়া শুরু করেন। গালাগালি করতে থাকেন আন্দোলনকারীদের। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক এস এম জাবেদ আহমেদ তাদের উভয় পক্ষকে গ্রন্থাগারের সামনে থেকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। এ সময় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে অধ্যাপক এস এম জাবেদের সাথে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান রনি ‘তোকেই তো খুঁজছি’ বলে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাথে সাথেই ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরা নূরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এখান থেকেই হামলার শুরু। এ সময় ধাওয়া দিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কেন্দ্রীয় মসজিদ, নাটমণ্ডলের সামনে, হাকিম চত্বর, রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মারধর করা হয় আন্দোলনকারীদের। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরকে। চতুর্মুখী কিল, ঘুষি, লাথিতে পড়ে যান নূর। বেদম পিটুনিতে মুখ থেকে লালা বের হয় নূরের। এ সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার হাতে একটি চাপাতি দেখা যায়। একপর্যায়ে অধ্যাপক জাবেদ আহমেদ নূরকে বাঁচাতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকেও লাঞ্ছিত করে। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় প্রায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে নুরুল হক নূর ছাড়া অন্যরা হলেন- আতাউল্লাহ, আরিফ, মামুন, জসিম, আরশ, আব্দুল্লাহ, আতাউল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন, মাসুদ এবং হায়দার। এ দফায় মারধরকারীদের মধ্যে ছিল- কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মেহেদী হাসান রনি, রুহুল আমিন, আদিত্য নন্দী, সাকিব হাসান সুইম (ঢাকা কলেজ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক এন এইচ সওকতুর রহমান, দারুস সালাম শাকিল, কৃষিশিাবিষয়ক সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, উপসম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু, মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী এবং সূর্যসেন হলের সভাপতি গোলাম সরওয়ারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। এ সময় ঢাকা কলেজেরও অনেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরে অংশ নিতে দেখা যায়।

প্রথম দফায় মারধরের পর দুপুর ১২টায় ছাত্রলীগ গ্রন্থাগারের ভেতর থেকে আবারো কয়েকজনকে বের করে এনে মারধর করে। এদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র মোহাম্মদ আরশকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘ধর ধর’ বলে মারতে থাকে। উপর্যুপরি কিল ঘুষিতে জ্ঞান হারান তিনি। এরপরও গ্রন্থাগারের সামনে সাইকেল রাখার পাকা স্ট্যান্ডে মাথা রেখে পায়ে চাপা দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল মামুন। পরে তাকে রিকশায় করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। এরপর বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারিকুল ইসলাম নামে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী। তিনি ইতঃপূর্বে একটি মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তবে মোটরসাইকেলটি কার, তা জানা যায়নি। বেলা দেড়টায় শাহবাগের গণগ্রন্থাগারের ভেতরে প্রবেশ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্তদের খুঁজতে থাকে ছাত্রলীগ। এ সময় তারা গ্রন্থাগারের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালায়। তালা লাগানোর চেষ্টা করে প্রধান ফটকগুলোতে। এতে গ্রন্থাগারে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহজনক মনে হলেই বাইরে টেনে এনে মারধর করে ছাত্রলীগ।

শুধু তা-ই নয়, গ্রন্থাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদেরও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের খুঁজে দিতে বাধ্য করে ছাত্রলীগ। ঘণ্টা দেড়েক চলতে থাকা এ হামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয়জনকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহতদের মধ্যে জসীম উদ্দিন আকাশ নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহত অবস্থায় তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যায়। এ হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, সহসভাপতি রুহুল আমিন, কৃষিশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপসম্পাদক আল মামুন, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, এস এম হলের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল, বিজয় একাত্তর হলের সাবেক সভাপতি শেখ ইনানসহ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

এসব ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ জানিয়েছে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ত নেই। ‘এটা কোটার আন্দোলনকারীদের অভ্যন্তরীণ ঝামেলা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর পিস্তল ও রামদা নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নুর, আরশ, জসীমসহ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে দেশের সকল কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে কাস পরীক্ষা বর্জন করবে শিক্ষার্থীরা। অবরোধ করা হবে সারা দেশ।

এ দিকে কয়েক দফার এ হামলা চলাকালে তা বন্ধের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। দেখা যায়নি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী কিংবা সহকারী প্রক্টরদের কাউকে। পরে সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, তারা সেখানে হাতাহাতি করেছে। তখন প্রক্টরিয়াল টিম অনেককে হাসপাতালে নিয়েছে চিকিৎসার জন্য। এটা বিশ^বিদ্যালয়ের বিষয় নয়।

হাসপাতালেও ছাত্রলীগের মহড়া :
সরেজমিন দেখা গেছে, হামলায় আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে অন্য আন্দোলনকারীদের খুঁজতে হাসপাতালে মহড়া দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বেলা ১টার দিকে মোটরসাইকেল মহড়া নিয়ে ঢামেকে আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক পিয়াল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, বিজয় একাত্তর হলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদার প্রমুখ। ৪-৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে তারা জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে মেডিক্যালের নতুন ভবনের দিকে যান। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ফোরে যান। এ সময় সেখানের উপস্থিতির মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করে। এ ছাড়া নিজেদের কর্মীদের দিয়ে জরুরি বিভাগে গিয়ে আন্দোলনকারীদের আহত ও তাদের সাথে থাকা অন্যদের খোঁজ নেয়ার জন্য বিভিন্ন ফোরে পাঠান। বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আরিফুর রহমান লিমন, অমর একুশে হলের সাধারণ সম্পাদন এহসান উল্লাহ প্রমুখ দলবল নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নেন। প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবুকেও বেশ কয়েকবার দেখা যায়। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে।

আগে হত্যার হুমকি পরে হামলা :
এ দিকে কোটা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হামলার আগে গত শুক্রবার থেকেই সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা ও মারধরের হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। পরে শনিবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে চাপাতি হাতে দেখা যায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে। পরে বেশ কয়েকজন মিলে তাকে পাশে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, কোটা বাতিল বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রায় তিন মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারির কার্যকর কোনো পদপে না নেয়ায় নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এর আগে প্রজ্ঞাপন দাবিতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের নেতাকর্মীরা। পরে শাহবাগ থাকায় লিখিত অভিযোগ করলেও তাদের জিডি গ্রহণ করেনি পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement