২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমলো

অষ্টম শ্রেণির সমপনী পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমলো। ছবি - নয়া দিগন্ত

চলতি বছর থেকেই অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি)পরীক্ষার নম্বর এবং বিষয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। নতুন গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেএসসিতে এখন থেকে মোট সাতটি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। অন্যদিকে জেডিসিতেও ২০০ নম্বর কমিয়ে ৯৫০ নম্বর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসির আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে জেএসসি এবং জেডিসিতে বাংলা ও ইংরেজিতে ১ম পত্র ও ২য় পত্র মিলিয়ে ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু এখন থেকে বাংলা এবং ইংরেজিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে।

এ ছাড়া নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। এর অনুপাতেই  নম্বর কমানো হবে। জেডিসিতেও সমপরিমাণ নম্বর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ের মূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে। দুই পরীক্ষাতেই অন্য বিষয়গুলোর নম্বর এবং আগের মতোই হবে।

নতুন গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদেরকে জেএসসিতে এখন ৮৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৬৫০ নম্বর এবং জেডিসিতে ১০৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে ।

সচিব বলেন, বিষয় কমানোর সঙ্গে সঙ্গে সিলেবাসও কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।

তাছাড়া এক লাইনের এমসিকিউ লিখতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন, সোহরাব হোসাইন।

শিক্ষাবর্ষ শুরুর পাঁচ মাস পর এ সিদ্ধান্ত হলেও তাতে শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না বলে মনে করেন সচিব। আগামী নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমানোর প্রস্তাব করেছিল। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এই প্রস্তাব গ্রহণ করে। এরপর এনসিসিসির সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ইনামুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহারিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক ছাড়াও এনসিসিসির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement