২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

প্রক্সি দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ আটক-৪

প্রক্সি দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ আটক-৪ - নয়া দিগন্ত

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ও পলিকেটনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলো, বগুড়া শান্তহার এলাকার সেলিম শেখের মেয়ে রাবি শিক্ষার্থী তুসমির শেখ, বগুড়া সোনাতলা নুরান এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে সাইদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ থানার সাবেকলা ভাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে সারোয়ার জাহান ও রাজশাহী মোহনপুর থানার বাটোপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের ও চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন ও জালিয়াতি চক্রকে আটকের ব্যাপারে অভিযানে নামেন।

অভিযানকালে রাজশাহী সিটি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য এক প্রার্থীর হয়ে পরীক্ষা দেয়ার সময় তুসমিরকে আটক করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এই চক্রের মুলহোতা সারোয়ার জাহানসহ অন্যদের আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

অন্যদিকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে আরও এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তার নাম সালেহ আহমেদ। রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় তার বাড়ি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এই পাঁচজনকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম জানান, ‘পলিটেকনিক কেন্দ্রে আটক পরীক্ষার্থীর কাছে মুঠোফোন ছিল। ওই মুঠোফোনে উত্তরপত্রও ছিল। কক্ষ পরিদর্শক সেটি দেখে তাকে আটকে রাখেন। পরে তাকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়।’

‘অন্যদিকে সিটি কলেজ কেন্দ্রে শাকিলা খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থীর ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন তুশমি শেখ। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাকিলার স্বামী আলমগীর এবং মধ্যস্থতাকারী সাইদুর ও সারোয়ারকে আটক করা হয়।’

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুশমি জানিয়েছেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শাকিলার হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন। সাইদুর ও সারোয়ার তাকে শাকিলার স্বামী আলমগীরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাকে আগাম ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। সবমিলিয়ে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর।

পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম জানান, ‘আটক পাঁচজনকে ডিবি অফিসে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement