২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
তিন কিশোরের প্লাস্টিক থেকে বিদ্যুৎ

প্রতিভার বিকাশ হোক অবারিত

-

পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এর ফলে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষা পাবে। আত্মবিশ্বাসের সাথে এমন অভিমত পোষণ করছে তিনজন কিশোর। তারা সম্প্রতি প্লাস্টিক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মেধা ও প্রতিভার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও পেয়েছে।
নয়া দিগন্তের ফেনী অফিসের পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আলোচ্য তিন শিক্ষার্থী ফেনী শহরের শাহীন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। এই তিন কিশোর উদ্ভাবক হলো মো: আবদুস সামি ভূঁইয়া, তাসনিমুল হাসান নাফিজ ও খালিদ বিন ইমাদ। তারা বিদ্যুৎসংক্রান্ত উদ্ভাবনের জন্য প্রথমে স্থানীয় উপজেলাপর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমেলায় সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল। পরে সারা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে স্থান পেয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল এবং একটি বীমা কোম্পানির যৌথভাবে আয়োজিত প্রতিযোগিতায়।
এই প্রতিযোগীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরি করা হয়েছে। তবে প্লাস্টিক থেকে বিদ্যুৎ উদ্ভাবনের ঘটনা নতুন। একই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুতের মতো গ্যাস, পেট্রল, চুনাপাথর ও ফটোকপির কালি উৎপাদন করাও সম্ভব। তাদের একজন জানিয়েছে, ‘দুই বন্ধুসহ প্রথমে ২৩৪টি প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছি। প্লাস্টিকের ক্ষতিকর ধোঁয়া পাইপের সাহায্যে একটি পাত্রে চুনের পানির সাথে মেশালে উৎপন্ন হবে চুনাপাথর। এটা সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর একটি উপাদান। এ প্রক্রিয়ায় একাধিক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করেছি। তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এভাবে উৎপন্ন হয় ছয় ভোল্ট ডিসি বিদ্যুৎ। তা থেকে ট্রান্সফর্মারের মাধ্যমে ১৮-২০ ভোল্ট এসি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। দ্বিতীয়ত, একটি বড় পাত্রে রেখে তাপে উৎপন্ন বাষ্পে টার্বাইন বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। রাজধানী ঢাকায় দিনে ১০ লাখ প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে সরকারের ব্যয় কমবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে।’
এই তিন কিশোরের মতো প্রতিভাবান অনেক শিশু-কিশোর তরুণ সারা বাংলাদেশে রয়েছে। কিন্তু অনুকূল পরিবেশ ও প্রেরণার অভাবে তাদের বিরাট অংশই অকালে ঝরে পড়ে। তারা হয়তো আর্থিক অনটনের দরুন স্বাভাবিকভাবে শিক্ষাজীবনও শেষ করতে পারে না। অথচ এ দেশের বহু ছাত্রছাত্রী বিদেশে গিয়ে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে মেধা ও প্রতিভার সম্যক বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পেয়েছে। ফলে অনেকেই সেখানে নতুন নতুন গবেষণা-আবিষ্কার-উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিপুল সুনাম কুড়িয়েছে। তারা আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও খ্যাতিমান ও আলোচিত। স্বদেশে থাকলে হয়তো তারা এ অবদান রাখতে পারত না।
অপার সম্ভাবনার এই বাংলাদেশ। এখানকার সব প্রতিভার যথাসময়ে বিকাশ ঘটুক এবং সরকার তাদের লালন ও পরিচর্যায় মনোযোগী হোকÑ জাতির এটাই প্রত্যাশা। অন্যথায়, তাদের কৃতিত্ব ও অবদান থেকে দেশ এবং জনগণ বঞ্চিত থেকে যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন

সকল