২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
হাজারো শিক্ষকপদ শূন্য

শিক্ষাকার্যক্রম বিঘিœত

-

বাংলাদেশে বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে না ওঠার পেছনে বহু কারণ বিদ্যমান। এর মধ্যে প্রধান দু’টি কারণ বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। এর একটি, সব স্তরে যোগ্য শিক্ষকের অভাব এবং দ্বিতীয়টি হলো, শিক সঙ্কট। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলোÑ দেশের বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষকসঙ্কট তীব্রতর। জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৮ হাজারের মতো শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে। এ দিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক ও সহকারী শিকের ২৮ হাজার ৮৩২টি পদ শূন্য আছে। এর মধ্যে প্রধান শিকের সাত হাজার ১৮টি এবং সহকারী শিকের ২১ হাজার ৮১৪টি পদ শূন্য আছে।
আমাদের সবার জানা, দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পড়ালেখা করে। ফলে শিক্ষক সঙ্কটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে স্কুল-কলেজের পাঠদানসহ শিক্ষাকার্যক্রম। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেশের সব স্তরের শিক্ষার মান এখন নি¤œমুখী। ফলাফল হচ্ছেÑ বাইরের দুনিয়ায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অন্য দেশের ছাত্রছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতায় খুব একটা টিকতে পারছে না। এ কথা সবার বিবেচনায় রয়েছে যে, ভালো শিক্ষকের অভাব রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব নয়; এটি সময়সাপেক্ষ। কিন্তু স্বল্পসময়ে শূন্য পদে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষকসঙ্কট মোকাবেলা করা অসম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সদিচ্ছা থাকাটা খুবই জরুরি।
শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে দু’টি ইতিবাচক ফল পাওয়া যেতে পারে। একটি হলোÑ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিরাজমান শিক্ষকসঙ্কট যে মাত্রায় বিদ্যমান, এর খানিকটা অবসান হবে। পাঠদানে যে ব্যাঘাত ঘটছে তা কিছুটা দূর করা সম্ভব। আর হাজার হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিলে দেশের শিক্ষিত অনেক তরুণের হবে কর্মসংস্থান। তাই বেসরকারি শিাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক নিয়োগের ল্েয প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপকে (এনটিআরসিএ) তৎপর হতে হবে। এনটিআরসিএ দুই দফায় ২০১৬ ও ২০১৯ সালে বেসরকারি শিাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করার পরও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় বিপুল শিক্ষকপদ আজো শূন্য পড়ে রয়েছে।
এটি ঠিক, এনটিআরসিএ তৃতীয় দফায় শিক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করেছে। নিয়োগের জন্য শূন্য পদের শিকদের তালিকা প্রতিষ্ঠানটি হালনাগাদ করছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল তালিকা সংগ্রহ ও সংশোধনের শেষ দিন। ওই তারিখ পর্যন্ত এনটিআরসিএর কাছে শূন্য শিক পদের যে খসড়া তালিকা এসেছে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় বাদে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদরাসার দাখিল আলিমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্ষেত্রে, সারা দেশ থেকে যে তালিকা পাওয়া গেছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তালিকা অনলাইনে আসায় এবং এটি নিয়ে ‘টেলিটক’ কাজ করায় সব তথ্য সমন্বয় করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে সময় লাগছে।
আমরা মনে করি, দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে থাকে; সেসব স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার মান না বাড়ালে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান বাড়ানো সম্ভব নয়। এ জন্য সর্বপ্রথমে দরকার পর্যাপ্ত শিক্ষক। এটি করা না হলে দেশে এখনো যে মানের শিক্ষাকার্যক্রম রয়েছে, তা-ও ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তখন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। এটি আমাদের জাতীয় জীবনে বয়ে আনবে বিরাট অকল্যাণ। তাই বিলম্ব না করে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সরকার সচেষ্ট হবে বলেই সবার প্রত্যাশা।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল