১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নতুন সড়ক পরিবহন আইন

কঠোর প্রয়োগে সড়কে ফিরবে শৃঙ্খলা

-

কাগজ-কলমে পয়লা নভেম্বর কার্যকর হলেও নতুন সড়ক পরিবহন আইন মূলত গত সোমবার থেকে প্রয়োগ করতে শুরু করেছে বিআরটিএ। ১৮ নভেম্বর প্রথম দিন আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ না করে সহনীয় মাত্রায় জরিমানা ও মামলা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে আইনের সর্বোচ্চ ও যথাযথ প্রয়োগ করা হবে। এর আগে ১৭ দিন জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচার চালানো হয়। প্রথম দিন রাজধানীর ছয়টি স্থানে আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। রাজধানীতে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জেব্রা ক্রসিংয়ে গাড়ি না থামানো, পর্যাপ্ত ফুটপাথ ও ফুটওভারব্রিজ কিংবা পার্কিংয়ের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সড়ক পরিবহনে কঠোর আইন কার্যকর করায় নগরবাসীর মধ্যে একধরনে শঙ্কা রয়েছে। অন্য দিকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করতে না করতেই এর প্রতিবাদে ১০ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, যেভাবে আইন করা হয়েছে তাতে তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। জামিন অযোগ্য ধারার কারণে পরিবহন চালক সঙ্কট বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন মালিকরা। এর সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার উদ্বেগজনক। প্রতিদিনের সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের যে পরিসংখ্যান, তা কোনো সভ্য দেশের চিত্র হতে পারে না। দুর্ঘটনা কমাতে সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর বেশির ভাগই শুধু দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। পুরনো আইনে সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে আগের চেয়ে কঠোর করে নতুন সড়ক পরিবহন আইন করা হয়। সড়ক আইনের সবচেয়ে বড় অংশীজন হচ্ছেন পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ। যাত্রী অধিকার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার ব্যক্তিরা কঠোর সড়ক আইনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহু দিন ধরেই। মালিক সংগঠনগুলো নতুন আইনের প্রয়োগ কিছু দিন পিছিয়ে দেয়ার দাবি করলেও তারা আইনটির সরাসরি বিরোধিতা করছে না। শ্রমিক সংগঠন আইনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। মালিকদের এতে সায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ‘সড়ক আইন সংসদে পাস হয়েছে। যত চাপই থাকুক, আইনটি বাস্তবায়ন করতেই হবে।’ এর আগে গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইনের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই প্রধান উদ্দেশ্য। আইনে কোনো অসঙ্গতি থাকলে পরীক্ষা করে দেখব। পরিবর্তনের বিষয়টি যদি যুক্তিসঙ্গত মনে হয়, তাহলে বিষয়গুলো আমরা বিবেচনা করে দেখব।’
এটা ঠিক, নতুন আইন আগের চেয়ে অনেক কঠোর। জরিমানাও বাড়ানো হয়েছে বহু গুণ। সংশ্নিষ্ট আইন নিয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আইনটির বিধিমালা এখনো তৈরি হয়নি। এ ছাড়া যে যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশ মামলা করে থাকে, সে সফটওয়্যার এখনো হালনাগাদ করা হয়নি। আবার অবৈধ পার্কিং করলে, ফুটপাথ ব্যবহার না করলে জরিমানার কথা বলা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের নগরীগুলোতে পার্কিং-সুবিধা সীমিত; একই সাথে রাস্তা পারাপারে বিকল্প জেব্রা ক্রসিং বা পথচারী সেতুও পর্যাপ্ত নয়। এতসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আইনটি যুগোপযোগী হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সঙ্গত কারণেই বলা যায়, এ আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা আসতে পারে। তবে অব্যাহতভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে, যাতে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল হয়ে নিজ থেকে আইন মানার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। সাথে সাথে আইনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে সংশোধনীর ব্যবস্থা রাখাও বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন সচেতন নাগরিক সমাজ। সবার একটাই চাওয়া, যেকোনো মূল্যে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সকল