২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
নকল প্রসাধনী নিয়ে গবেষণা

ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য বন্ধ করা জরুরি

-

বাংলাদেশে নকল প্রসাধনীর ছড়াছড়ি বহু দিন থেকেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেকসময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের সাথে যোগসাজশে প্রায় প্রকাশ্যেই বাজারে বিক্রি করছে এসব ক্ষতিকর প্রসাধনী। ফুটপাথ থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানসহ সারা দেশে বলতে গেলে, অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে বিপুল কথিত প্রসাধনী। মেয়াদোত্তীর্ণ সুগন্ধি এসব প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে মোড়ক পাল্টিয়ে এবং নামী-দামি কোম্পানির পণ্য হিসেবে। আর এসব বাজে পণ্য ব্যবহার করে অনেকেই হচ্ছেন নানা রোগের শিকার।
একটি জাতীয় দৈনিকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়Ñ কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই রাজধানী ও এর আশপাশে কারখানা বসিয়ে নকল প্রসাধনীসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব কারখানায় ভুয়া দেশী-বিদেশী মোড়কে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, লোশন, বিউটি সোপ, ফেসওয়াশ ও শ্যাম্পুসহ হরেক রকম প্রসাধনী উৎপাদন করে অবাধে বাজারজাত করা হচ্ছে।
বিপদের কথা হলো, এসব ভেজাল প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হচ্ছে আর্সেনিক ও সিসা। আর এগুলো ব্যবহার করে নারী-পুরুষ ক্যান্সার, চর্মরোগ, কিডনি ও নিউরোপ্যাথিসহ লিভারের নানা জটিল রোগের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। এর প্রভাবে এমনকি, অনেক মা জন্ম দিচ্ছেন বিকলাঙ্গ শিশু।
এসব নকল প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতাল। এই দুই প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা গেছে, নকল প্রসাধনী তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত কেমিক্যালে বিষাক্ত আর্সেনিক রয়েছে। পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত। আর এই কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা প্রসাধনী ব্যবহারে জন্মগত ত্রুটি দেখা যায়। যেমন, স্পাইনাল কর্ড থাকার কথা মেরুদণ্ডে। তবে নকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে অনেকের দেহে স্পাইনাল কর্ড থাকছে মেরুদণ্ডের বাইরে। এ ছাড়া স্কিন ক্যান্সার, চুল পড়া, ডায়াবেটিস আর চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ নকল প্রসাধনী ব্যবহার। এই সিসা নিউরোপ্যাথি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। নিউরোপ্যাথি হচ্ছে, মানবদেহের নার্ভগুলোর সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে পরে পঙ্গু হয়ে যাওয়া। চিকিৎসকদের অভিমত, ভেজাল প্রসাধনী বাংলাদেশে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
আমরা মনে করি, সময় এসেছে নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাত করার যাবতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ করার। আর এই গুরুদায়িত্ব সরকারের নিঃসন্দেহে। সরকার কঠোর হলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনের স্বার্থান্বেষী মহল কখনোই নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত চক্রের পৃষ্ঠপোষকতা দেবে না। আমরা আশা করব, সরকার এবার নকল প্রসাধনী বিরোধী অভিযান শুরু এবং তা জোরদার করবে। তা করতে ব্যর্থ হলে, আমরা আরো বেশি করে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ব। অতএব, এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আর বিলম্ব করা যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান

সকল