২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
‘টাকা দিলে সুস্থ, নইলে অসুস্থ’!

বিদেশগামী শ্রমিকদের এ দুর্ভোগ কেন?

-

বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের শ্রমিক বা কর্মীদের মেডিক্যাল চেকআপের নামে অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে হয়রানি চলছে অনুমোদিত রোগ নির্ণয় কেন্দ্রেই। মোটা অঙ্কের ফি নিয়েও এসব প্রতিষ্ঠান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যতিরেকেই বিদেশ গমনের স্বাস্থ্যসনদ ইস্যু করছে বলে জানা যায়। এক কথায়, ‘টাকা ঢাললে সুস্থ, অন্যথায় অসুস্থ।’
একটি সহযোগী দৈনিকের লিড নিউজে এ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চাহিদা’ মাফিক অর্থ দেয়া হলেই মেডিক্যাল রিপোর্ট ‘পজিটিভ’। আর না দিলে রিপোর্ট হয়ে যায় ‘নেগেটিভ’। রোগাক্রান্ত ব্যক্তিও টাকার বিনিময়ে পেতে পারে কথিত সুস্থতার সনদ। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যেক দিন কয়েক শত মানুষ হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এমন অবস্থা নতুন নয়; তবুও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানা গেছে, আরব দেশগুলোতে যেতে হলে ‘জিসিসির’ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে হয়। বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের যেসব এলাকায় বিদেশ গমনেচ্ছুদের সংখ্যা বেশি, সেখানেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন, সিলেটে আছে এমন ১০টি প্রতিষ্ঠান যেখানে রক্ত, ইউরিন, লিভার প্রভৃতি পরীক্ষা করানোর জন্য মাথাপিছু সাড়ে আট হাজার টাকা করে দিতে হয়। আর নারী শ্রমজীবীদের প্রেগন্যান্সি টেস্টের জন্য অতিরিক্ত দিতে হয় কিছু টাকা। অভিযোগে প্রকাশ, মেডিক্যাল টেস্টকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী একটি চক্র গড়ে উঠেছে। এরাই বিদেশগামী সরল ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। তদুপরি, যথাসময়ে মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে না আসায় অনেকের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। অন্য দিকে, কারো কারো ভিসার মেয়াদ কম থাকায় তাদের প্রতারণা করা সংশ্লিষ্ট দালালসহ অসৎ ব্যক্তিদের পক্ষে সহজ হচ্ছে। তখন অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ‘পজিটিভ রিপোর্ট’ সংগ্রহ করতে হয়। আরো জানা গেছে, স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট যে পরীক্ষাগুলো করাতে বড়জোর দু’হাজার টাকার প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে নেয়া হচ্ছে আট থেকে ১০ হাজার টাকা। শুধু অর্থের লোভে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সুস্থ ব্যক্তিকে ‘অসুস্থ’ বানিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। কাউকে তখন বলা হয়, ‘আপনার ফুসফুসে দাগ পড়ে গেছে অথবা সংক্রমণ হয়ে গেছে।’ ‘বুকে দাগ পড়া’র কথা বলে অনেককে ভয় লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মেডিক্যাল সেন্টার দালালের মাধ্যমে প্রতারণার টাকা আদায় করে থাকে। বিদেশগামী ব্যক্তিদের সিরিয়াল টাকার বিনিময়ে দিয়ে থাকে দালাল ও প্রহরীরা। সিরিয়াল ছাড়াও অনেকসময় কাজ সারিয়ে দেয়া হয় উৎকোচ নিয়ে। একটি পত্রিকায় জনৈক ভুক্তভোগীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, একজন দালাল তাকে মেডিক্যাল সেন্টারে বলেছেন, ‘আগে ভাগেই লাইন করা না হলে পরে পস্তাতে হবে।’ ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট দেয়া হলেও তিনি তিন হাজার টাকা দিলে এ রিপোর্ট অনলাইনে প্রকাশ করা বন্ধ রাখা হয়। এর পরই তিনি জনৈক দালালকে আট হাজার টাকা দিয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট পেয়ে যান একই প্রতিষ্ঠান থেকে।
সবার প্রত্যাশা, অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে এসব প্রতারককে দমন এবং সব রকমের হয়রানি, দুর্নীতি ও প্রতারণা বন্ধ করে বিদেশগামী কর্মীদের সহজ ও নির্বিঘœ প্রবাস যাত্রা নিশ্চিত করা হবে। স্মর্তব্য, এ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি প্রধান উৎস হলো, প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫

সকল