১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বুয়েটে ছাত্রসংগঠন বেআইনি

সন্ত্রাসের অবসান ঘটুক

-

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েট এ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি চলবে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-নীতি ও আইন অনুসারেÑ এটাই প্রত্যাশিত। অপর দিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর বুয়েটভিত্তিক ছাত্রসংগঠনগুলোর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। অথচ বুয়েট প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন সরকারের চোখের সামনেই এসব ছাত্রসংগঠন বুয়েটে ইচ্ছামতো তাদের নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বছরের পর বছর। এসব সংগঠন মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমও চালিয়ে আসছে। অথচ এ জন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ীও বুয়েটে এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। কিন্তু সে ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সচেতনতা বা স্পষ্ট ধারণা আছে বলে মনে হয় না। বরং প্রশাসন এসব সংগঠনের কোনো অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে আসেনি। অথচ বুয়েট প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল এসব ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া।
বুয়েটের মূল আইন হচ্ছে, ১৯৬১ সালের ‘দ্য ইস্ট পাকিস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স’। এই অধ্যাদেশের আওতায় প্রণীত হয়েছিল ‘অর্ডিন্যান্স রিলেটিং টু দ্য বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন’। বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব এই বোর্ডের। ১৯৮৯ সালের ৩১ জুলাই বুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ওই অধ্যাদেশের সর্বশেষ সংশোধন ও অনুমোদন করেছিল।
এই ধারার ১৬ ধরা মতেÑ ‘ডিরেক্টর অব স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার’র (ডিএসডব্লিউ) লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো ক্লাব বা সোসাইটি কিংবা ছাত্রসংগঠন (বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ডিপার্টমেন্ট বা হল অ্যাসোসিয়েশন ছাড়া) গঠন করা যাবে না। ডিএসডব্লিউর পূর্ব অনুমোদন ছাড়া বুয়েট চত্বরে ছাত্রদের কোনো সভা, পার্টি বা বিনোদনের আয়োজন করা যাবে না কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলার সময় ছাত্ররা কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারবে না।’
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের চোখের সামনেই বেআইনিভাবে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন যথেচ্ছ তৎপরতা চালিয়ে আসছে প্রশাসনের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির কারণেই; বুয়েট প্রশাসন তা দেখেও না দেখার মনোভাব প্রদর্শন করে এসেছে। জানা গেছে, বুয়েট ক্যাম্পাসে আইনানুগ সংগঠনের বেশির ভাগই ক্লাব। এর সংখ্যা ২৯। বিভিন্ন দলের পরিচয়ে যত সংগঠন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের একটিও ওই ২৯ সংগঠনের মধ্যে নেই। প্রশ্ন আসে, কিভাবে এগুলো বেআইনিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি তা জানে না?
এ দিকে, কয়েক দিন আগে আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, বুয়েটে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক আসলে কার কল্যাণে কাজ করছেন। পদের নাম থেকেই তার দায়িত্বের বিষয় স্পষ্ট। তিনি কোনো দিন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেনÑ এমন কোনো কথা শোনা যায়নি। বুয়েটের হলে হলে দীর্ঘ দিন ধরে টর্চার সেলগুলোতে যে নিরীহ ছাত্ররা নিগৃহীত হয়ে আসছে, সে ব্যাপারে তিনি চোখ বন্ধ করে থেকেছেন। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি করা সম্পর্কে উচ্চ আদালতের যেসব নির্দেশনা রয়েছে, সেগুলো লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বুয়েট প্রশাসন থেকে।
আমরা চাই, বুয়েটসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত আইনকানুন অনুযায়ী চলুক এবং নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা হোক কঠোরভাবে। তা হলে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর যাবতীয় সন্ত্রাস ও দৌরাত্ম্যও বন্ধ হবে। অবসান হবে যাবতীয় নৈরাজ্যের। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিরে পাবে তাদের হারানো মর্যাদা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সকল