বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট শিক্ষা
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
কিন ব্রিজ, আলী আমজদের ঘড়ি আর চাঁদনিঘাটের সিঁড়ি সিলেটের ঐতিহ্যের স্মারক। সুরমাপাড়ের এ তিনটি স্থাপনা মুগ্ধ করে পর্যটকদের। খোলা হাওয়ায় সময় কাটাতে প্রতিদিন বিকেলে এসব স্থাপনার কাছে ভিড় করেন সিলেট নগরবাসী। কিন্তু ময়লা-আবর্জনায় সুরমাপাড়ের পরিবেশ নোংরা হয়ে ওঠে।
এসব আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ব্রিটেনের তিনজন পার্লামেন্ট সদস্য। বাংলাদেশের প্রশ্নবিদ্ধ পার্লামেন্টের কোনো সদস্য এ মহতী কর্মে কোনো দিন নামবেন বলে ধারণাও করা যায় না। অথচ ‘গণতন্ত্রের সূতিকাগার’ এবং ‘পার্লামেন্টের জননী’তুল্য যুক্তরাজ্যের আইনসভার তিনজন সম্মানিত সদস্য ‘সাত সমুদ্র তের নদী’র দূরবর্তী সুরমাতীরের নোংরা ময়লা পরিষ্কার করার কাজ বিন্দুমাত্রও সম্মানহানি করে বলে মনে করেননি। তাদের এই মহৎ মানসিকতা, মানুষের সেবার সদিচ্ছা এবং পরিবেশসচেতনতা সিলেটবাসীসহ বাংলাদেশের মানুষকে যুগপৎ বিস্মিত ও বিমুগ্ধ করেছে।
ঢাকার কোনো কোনো জাতীয় দৈনিকের সচিত্র সংবাদে জানা যায়, গত সোমবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ক্লিন সুরমা গ্রিন সিলেট’-এর কর্মীরা সুরমা নদীতীরের সৌন্দর্য দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন সফররত ব্রিটিশ এমপিদের। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটেনে বর্তমানে ক্ষমতাসীন, রক্ষণশীল দলের ডেপুটি চেয়ারম্যান পল স্কালি এমপি, কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রধান অ্যান মার্গারেট মেইন এমপি এবং বব ব্ল্যাকম্যান এমপি। তাদের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের একটি গ্রুপ সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে সুরমাতীরে জমে ওঠা পুতিগন্ধময় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ এমপিরা নোংরা ভাগাড়তুল্য আবর্জনার মধ্যে দাঁড়িয়ে নিজ হাতে এগুলো সরাতে ব্যস্ত। আর বাংলাদেশী স্বেচ্ছাকর্মীরা সে ময়লা তুলে বস্তা ভর্তি করছেন। সুদূর ব্রিটেনের এমপিরাসহ অনেকেই সিলেটসহ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা শুনেছেন। তাদের অনেকের বহু দিনের আকাক্সক্ষা হলো, এ সৌন্দর্য উপভোগ করা। সে মোতাবেক, ওই এমপিরা সিলেটে গিয়ে শহরের চাঁদনিঘাট এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে সৌন্দর্যের বদলে ‘কদর্য’ দেখে তারা আর স্থির থাকতে পারেননি। নিজেরাই ময়লা পরিষ্কার করে পরিবেশ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করে তোলার কাজে অবতীর্ণ হয়েছেন।
বাংলাদেশের শুধু এ জায়গায় নয়, প্রায় সর্বত্রই পরিবেশ দূষিত। মূলত আমাদের সরকার ও জনগণের দায়িত্ববোধের অভাব এবং মজ্জাগত অসচেতনতা এর কারণ। সিলেটের এ ঘটনায় উল্লিখিত বিদেশী রাজনীতিক ও আইনপ্রণেতারা কুড়িয়েছেন প্রশংসা আর দেশী কর্তৃপক্ষ ও কর্তাব্যক্তিরা পাওয়ার কথা লজ্জা ও নিন্দা। যাদের হুঁশ হওয়ার কথা, তাদের কি এরপরও হুঁশ হবে?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা