আমদানির উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেÑ দেশে হিমায়িত গরুর গোশত আমদানির পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কী কারণে এবং কার স্বার্থে এই অপ্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। আমরা জানি, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ফলে দেশ গোশত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করেছে। ফলে এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে গোশত রফতানির উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে। এমন অবস্থায় হিমায়িত গরুর গোশত আমদানির উদ্যোগ কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তা ছাড়া, যদি হিমায়িত গরুর গোশত আমদানির এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়, তবে দেশে এক কোটি ৬১ লাখ গবাদিপশু পালনকারী ছোট-বড় খামারের সাথে জড়িত প্রায় ছয় কোটি লোকের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হবে। খবরে প্রকাশ, গোশতের জন্য উৎপাদিত ৯০ লাখ গরু-মহিষ এবং এক লাখ ৪০ হাজার ছাগল-ভেড়া গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চালনে সহায়তা করে প্রতি বছর। এ সঞ্চালনের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা দরিদ্র-অতি দরিদ্র খামারিদের মধ্যে বিতরণ হয়ে থাকে। দেশে চার লাখ ৪২ হাজার ৯৯১টি নিবন্ধিত গরু মোটাতাজাকরণ খামার ও ৫৯ হাজার ২৭৪টি দুগ্ধ খামার রয়েছে। দেশে প্রায় এক লাখ ৫১ হাজার গোশতের দোকানে প্রায় চার লাখ ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। বছরে ১৮ হাজার কোটি বর্গফুট চামড়া উৎপাদন হয় দেশীয় পশু থেকে।
এ প্রেক্ষাপটে যদি হিমায়িত গরুর গোশত আমদানি করা হয়, তবে উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোর ব্যবসায়-বাণিজ্যে চরম সঙ্কট দেখা দেবে। কর্মসংস্থান হারাবে বিপুল মানুষ। দেশের প্রায় এক লাখ কোটি টাকা গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে। সাধারণ খামারিদের স্বার্থে এবং একই সাথে জনস্বার্থে ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থে হিমায়িত গরুর গোশত আমদানির উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সরকারের উচিত এমন উদ্যোগ নেয়া, যাতে বাংলাদেশের ভেতরে গোশত উৎপাদনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলা যায় এবং আমরা গোশত রফতানি করে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধিতে অবদান বাড়িয়ে তুলতে পারি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা