সব মহলের সচেতনতা প্রয়োজন
- ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
বাংলাদেশে ইয়াবা অন্তঃহীনভাবে ঢুকছে। এ সমস্যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। কিন্তু সমস্যাটি সমাধানে কোনো অগ্রগতি এতদিনেও পরিলক্ষিত হচ্ছে না; বরং দেশে ইয়াবার অনুপ্রবেশ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একটি জাতীয় দৈনিক জানিয়েছে, নৌ ও পাহাড়ি পথে এখনো দেশে ইয়াবা ঢুকছে। শহরে ইয়াবার ব্যবহার কমলেও বেড়ে গেছে গ্রাম এলাকায়। এখনো রাজধানীসহ সারা দেশে আসছে ভয়াবহ মাদক, ইয়াবার বড় বড় চালান। সবার জানা, ইয়াবা সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত টেকনাফে চলেছে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান, মামলা ও আত্মসমর্পণের ব্যাপক কর্মকাণ্ডÑ এর পরও থামেনি বাংলাদেশে ইয়াবা আসার অপতৎপরতা।
জানা গেছে, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের ফলে এ দেশে শহরে ইয়াবার ব্যবহার কিছুটা কমলেও গ্রামে এর ব্যবহার বেড়েছে। কাঁচা টাকা লুটে নেয়া ইয়াবা কারবারিরা এখন টার্গেট করছে গ্রামের এলাকাগুলোকে। ‘ক্রেজি ড্রাগ’ ইয়াবা মহামারীর আকার ধারণ করেছে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে। প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বিস্তার ঘটেছে নীরব ঘাতক ইয়াবা ট্যাবলেটের, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত বহন করছে এই ইয়াবা বড়ি। উদ্বেগজনক সত্য হলো, রাজনীতিবিদদের একটি বড় ও অসৎ অংশ এই ব্যবসায় নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকের দিনে এমন কোনো পেশার লোক নেই, যারা ইয়াবার প্রতি আসক্ত নয়। শ্রমজীবী থেকে শুরু করে প্রতিটি পেশার মধ্যে এটা রয়েছে। ইয়াবা সেবন সম্পর্কে গ্রামের মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। তারা মনে করে, ইয়াবা সেবনে শরীরের বল বাড়ে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ইয়াবা সেবনে প্রথম দিকে শক্তি বাড়লেও ধীরে ধীরে এই শক্তি কমে যায়। ইয়াবা সেবনকারীরা ইয়াবা সেবনের পর উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং এ সময়ে এরা নানা অস্বাভাবিক কাজে লিপ্ত হয়। এর ফলে অনেক ইয়াবা আসক্ত খুন-খারাবি, চুরি-ডাকাতি ও নানা ধরনের উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িয়ে পড়ে। ইয়াবা সেবনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সমাজে অস্থিতিশীলতাও বেড়ে যায়।
সার্বিক বিবেচনায়, ইয়াবা সমাজের জন্য একটি মারাত্মক অভিশাপ। এর প্রভাবে সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যুবসমাজ বিপথগামী হয়ে পড়ে। এর ফলে জাতির এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই ইয়াবার অনুপ্রবেশ ও অন্তঃপ্রবাহ যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, যারা এ গুরুদায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের অনেকে সে দায়িত্ব পালনে মোটেও আন্তরিক নয়। প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে এই মরণবড়ি পাচারে লিপ্ত। অনেক সরকারি কর্মকর্তাও ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
ভুললে চলবে না, ইয়াবার আসক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যা। জাতীয়ভাবে সব মহলের সচেতন ও আন্তরিক ভূমিকা পালন ছাড়া ইয়াবার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। আগামী প্রজন্মের সার্বিক কল্যাণের কথা ভেবে আসুন, সবাই মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইয়াবার বিরুদ্ধে লড়াই করি। তবেই হতে পারে ইয়াবার প্রবেশ ও প্রয়োগের অবসান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা