২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
অর্ধলাখ ছাড়িয়েছে ডেঙ্গু রোগী

শিগগিরই কমছে না এডিসের তাণ্ডব!

-

দেশে ডেঙ্গু ‘মহামারী’ রূপ নিয়েছে কি নেয়নি, তা নিয়ে চলছে অবাঞ্ছিত বিতর্ক। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, ইতোমধ্যে সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। মৃতের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় লেগেই আছে। ঈদের সময়েও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারণ, পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি স্পষ্টভাবে লক্ষণীয়। এর প্রমাণ, সরকারি হিসাবেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা গত শুক্রবার ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ‘৪০ জন’। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত মানুষ আর কখনো এ রোগে আক্রান্ত হননি। এর মধ্যেও আশার কথা হচ্ছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫০ হাজার রোগীর ৮৪ শতাংশ ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রের দাবি, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ হাজার ২৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৯৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৪০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের এ হিসাবে দেখানো হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হবে। মৃতের সংখ্যাও দ্বিগুণ বলে বেসরকারি পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরের মতো ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের যথাযথ চিকিৎসাও সমস্যাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে ভিড় বাড়লেও কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু এ কারণে নতুন করে যে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তা হলো ভর্তিকৃত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হওয়া। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় মেঝে, বারান্দা ও সিঁড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে সুচিকিৎসা ব্যাহত হওয়াই স্বাভাবিক। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমাতে রাজধানীর যেসব এলাকা ভয়াবহ ডেঙ্গুপ্রবণ, সেখানে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা জরুরি। এ জন্য সরকারকে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে প্রথমেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে তা যেন আর বেড়ে না যায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের উচিত, যেসব মহল্লায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি, সেখানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা। এ কাজে কমিউনিটি সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ব্যবহার করা যেতে পারে। এ উদ্যোগে চিকিৎসক সংগঠন, এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসা উচিত। তবেই ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাক্সিক্ষত সাফল্য আসতে পারে। সবার সহযোগিতায় এই দুর্যোগ মোকাবেলায় কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানোর অবকাশ নেই।
আমরা মনে করি, ডেঙ্গুর মওসুম শেষ হতে এখনো মাস দুয়েক বাকি। সেহেতু শিগগিরই এডিস মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি হয়তো মিলছে না, তাই দরকার মশা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে রাখার জোরালো উদ্যোগ নেয়া।

 


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল