২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দুর্গত এলাকায় তীব্র খাদ্য সঙ্কট

জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন

-

বন্যার্তদের দুর্ভোগের শেষ নেই। সাধারণ মানুষের কাজকর্ম নেই। আছে নানামুখী ফসলহানি। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। ফলে রুটি-রুজির সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে বন্যা দুর্গল এলাকায়। ত্রাণসহায়তা যা আসে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে খাবার জোগাড় করা।
এবারের দেশের বন্যা পরিস্থিতি এখন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানি নতুন করে প্লাবিত করছে দেশের বিভিন্ন এলাকা। দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যার পানির বিস্তৃতি ঘটছে। জামালপুর, শেরপুর, বগুড়া, নওগাঁ, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জে প্লাবিত হয়েছে আরো নতুন নতুন এলাকা। শুধু জামালপুরেই দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ। পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় পানি বেড়েছে রাজবাড়ী ও শরীয়তপুরে। সেখানে বেড়েছে নদীভাঙনের তীব্রতা। এ দিকে উত্তরের জেলা নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বেশ কয়েক দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকায় পানিবন্দী লোকজন তীব্র খাবার পানি ও ওষুধ সঙ্কটে ভুগছেন। সঙ্কট আছে খাবার জোগাড় করা নিয়েও। খাবার পানি, খাদ্য ও ওষুধের অভাব রয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে। বিশেষ করে বন্যার কারণে যেসব এলাকায় নতুন নদীভাঙনের তাণ্ডব শুরু হয়েছে, সেসব এলাকায় পানি, ওষুধ ও খাবারের সঙ্কট বেশি। এসব এলাকায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যে ত্রাণতৎপরতা চলছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
এ কথা সত্যি, শুধু বন্যা চলার সময়েই নয়, বন্যার পরবর্তী সময়েও পানি, ওষুধ ও খাবারের সঙ্কট বিদ্যমান থাকে। বন্যা আরো সপ্তাহ দুয়েক চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। যদি তাই হয়, হয়তো মানুষ সপ্তাহ দুয়েক বন্যার বর্তমান দুর্ভোগ শেষে বাড়িঘরে ফিরবে। কিন্তু তখনো তাদের পানি, ওষুধ ও খাবারের অভাব থাকবে। ওই সময় সরকারি পর্যায়ে উপযুক্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছলে বন্যার্তদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। তা ছাড়া, বন্যার্তদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে সরকারের এখনই উচিত প্রস্তুতি নেয়া। তখন প্রয়োজন কৃষকদের বীজ, সার ও কৃষিঋণ সহজে জোগান দেয়া। নইলে সামনে কৃষকেরা চাষবাসে ফিরে যেতে পারবেন না। তাই বন্যার পরপরই কৃষকেরা যাতে দ্রুত চাষবাসে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। তা ছাড়া, বন্যার পরপরই নানা ধরনের রোগবালাই হতে দেখা যায়, বন্যা শেষে যেন আমরা তেমন কোনো পরিস্থিতিতে না পড়ি, সে ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে। মোট কথা বন্যা চলার সময় বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন আগের মতো বিদেশী সহায়তা আসে না। তাই এ ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তাই বন্যার্তদের একমাত্র ভরসা। এ কথা যেন আমরা ভুলে না যাই।


আরো সংবাদ



premium cement
মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল