বাজারে বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত করুন
- ১৫ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
ল্যাবরেটরি টেস্টে দেখা যাচ্ছে, বাজারে চলতি দুধের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক এবং ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে একদল গবেষক দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা করে দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছে। দুগ্ধ উৎপাদনে বাংলাদেশ অগ্রগতি সাধন করেছে। নানাভাবে খাদ্য হিসেবে দুধের ব্যবহার বেড়ে গেছে। এর অর্থনীতির আকারও অনেক বড়। সেজন্য কোনো একটি ব্র্যান্ডের দুধের ব্যাপারে নেতিবাচক কোনো খবর প্রকাশ হলে তারা বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাজারে বিশুদ্ধ দুধের নিশ্চয়তার জন্য এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে বাজারের দুধ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ১০টি দুধের নমুনা পরীক্ষা করে ১০টির মধ্যেই ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং দুধ উৎপাদনকারী খামারিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। খাদ্যের গুণমান ঠিক রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অধীনে কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তাদের অধীনে সঠিক উপায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভেজাল দুধসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্য বাজার থেকে বিদায় করতে হবে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এ দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এ যাবৎ সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। সেটা যদি তারা পালন করতে পারত তাহলে বাজারে ভেজাল খাদ্যে সয়লাব হয়ে যাওয়ার কথা নয়। বিচ্ছিন্নভাবে বাজারের খাদ্যপণ্য নিয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে তাতে এটা অনুমান করা যায়, বিশুদ্ধ খাবার বলতে গেলে বাজারে নেই। এ দিকে একটি সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে কীটনাশক, অ্যান্টিবায়োটিকসহ খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান শনাক্ত করার উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি নেই খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই’র। দুধের বিশুদ্ধতা নির্ধারণের জন্য তাদের যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ১৭ বছর আগের। মাত্র ৯টি মানদণ্ডে এটি দুধ পরীক্ষা করে। যেখানে উন্নত দেশে ২৩ থেকে ৩০টি মানদণ্ডে দুধ পরীক্ষা করা হয়। ফলে এটি দুধ পরীক্ষা করে যে ফলাফল দেবে তাতে কীটনাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত না-ও হতে পারে। এ ছাড়া সংস্থাটির কার্যক্রমে ঢিলেমি ও একগুঁয়েমি ভাব রয়েছে। এ জন্য উচ্চ আদালত তাদের সতর্কও করেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত বাজারে থাকা ভেজাল খাদ্যপণ্যগুলো শনাক্ত করা এবং সেগুলো বাজার থেকে উচ্ছেদ করা যায়নি। দুধ নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বিতর্কের অবসান হওয়া দরকার। দুধের বিশাল বাজার এর ভোক্তা খামারি ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত স্বার্থে তা হওয়া দরকার।
খাদ্যে ভেজাল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তবে ভেজাল প্রতিরোধে কোনো ধরনের কার্যকর অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে দুধে ভেজাল নিয়ে উপর্যুপরি খবর হয়েছে। যারা খাদ্যের গুণমান নির্ধারণকারী কর্তৃপক্ষ তাদের টনক এখনো নড়ছে না। আমরা মনে করি, বিচ্ছিন্নভাবে কোনো খাদ্যপণ্যের গুণমান বিচার করে সে খবর ছড়িয়ে দেয়া কোনোভাবেই উচিত নয়, বরং দুধসহ বাজারের যত পণ্য আছে, প্রতিটির গুণমান নিয়ে কাজ করা দরকার। এ জন্য বিএসটিআই-কে দ্রুত যুগোপযোগী করতে হবে। এ সংস্থাটিকে দিয়ে যদি না হয়, সরকারকে একটি টিম গঠন করতে হবে, যারা খাদ্যে ভেজালের বিষয়টি সার্বিকভাবে দেখবে। অচিরেই সরকারের এমন কোনো কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেয়া দরকার, যারা জনস্বাস্থ্যের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা