২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন মহাসড়ক কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে

-

দেশের ব্যস্ততম মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল অন্যতম। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতে এ পথ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিপুল গাড়ি চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত এ সড়কপথে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয় ২০১৩ সালে। তবে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। চার প্যাকেজে কাজ চলছে। প্রথমটি গাজীপুরের ভোগরা বাজার ইন্টারচেঞ্জ থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার। দ্বিতীয় প্যাকেজে টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন পর্যন্ত আরো ১৯ কিলোমিটার। তৃতীয় প্যাকেজে দুল্লামারী রোড থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। প্যাকেজ-৪এ পড়েছে এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের ১০ কিলোমিটার।
সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন মহাসড়ক। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণব্যয় ৫৮ কোটি টাকারও বেশি। আগামী বছরের জুনে চার লেনের এ মহাসড়ক উদ্বোধন হওয়ার কথা। কিন্তু ইতোমধ্যেই দেবে যাচ্ছে সড়কটি। এর মাত্রা এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার অংশে বেশি। মহাসড়কের কোথাও দেড়-দুই ইঞ্চি পর্যন্ত দেবে যাচ্ছে পিচ। কোথাও সড়কের মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক দেবে যাওয়ার এ সমস্যাকে প্রকৌশলের ভাষায় বলা হয় ‘রাটিং’। পিচের জন্য পাথর-বিটুমিনের যে মিশ্রণ তৈরি করা হয়, তা ঠিকমতো না হলে সড়ক দেবে যেতে পারে। দেবে যাওয়ার আরেকটি কারণ, যানবাহনের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পরিবহন। এর বাইরে, দুর্বল নকশা বা দুর্বল নির্মাণকাজের কারণেও সড়ক দেবে যেতে পারে। এ ছাড়া মাটির ধাপগুলোতে ঠিকমতো রোলিং না করা হলেও ‘রাটিং’ দেখা দিতে পারে। একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এ কারণে উদ্বোধনের এক বছরের মাথায় হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে সংস্কার কাজের প্রয়োজন পড়ে সড়কটিতে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং চালকদের অভিযোগ, সড়কের নির্মাণকাজ মানসম্পন্ন হয়নি বলে দেবে গেছে। তবে নির্মাণকাজের ত্রুটি মানতে নারাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের দাবি, ওভারলোডিং আর ওভারট্রাফিকিংয়ে মহাসড়ক দেবে যাচ্ছে। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে, ওভারলোডিং আর ওভারট্রাফিকিংয়ের ফলে এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এসব অজুহাতের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। সমস্যাটি আসলে নির্মাণে। রাস্তার নির্মাণকাজই দেবে যাওয়া অংশে ভালো হয়নি।
মহাসড়কটি পরিদর্শন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি মনিটরিং টিম। পরিদর্শনকালে এলেঙ্গা থেকে ঢাকার দিকে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার অংশে রাটিংয়ের অস্তিত্ব মিলেছে। পরিদর্শন শেষে মনিটরিং টিম সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাটিং হওয়া কয়েকটি জায়গায় মেশিন দিয়ে কেটে মেরামত করা হয়েছে, যা দেখে মনে হতে পারে মেরামত করা পুরনো সড়ক।
আমরা মনে করি, সদ্যনির্মিত মহাসড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে এ ধরনের রাটিং কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয়। এতে করে সরকারের ভাবমর্যাদাও ক্ষুণœ হচ্ছে। মোটকথা সড়কের নির্মাণকাজ অবিলম্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি। এ জন্য কারিগরি টিম গঠন করে রাটিংয়ের কারণ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এর দায়দায়িত্ব কার তা নির্ধারণ করবে কমিটি। সেই অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল