২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রেলের দুরবস্থা চরমে

অবসানে পদক্ষেপ জরুরি

-

সরকারের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে, উন্নয়নের ঢাকঢোল নিজেই পেটানো। সব দিকে সরকারি দলের নেতানেত্রীদের এই উন্নয়নের জারিজুরি শুনতে শুনতে দেশের সাধারণ মানুষের কান ঝালপালা। কিন্তু এই উন্নয়নের সীমানা দেয়াল যেন কিছু মেগা প্রকল্পের মধ্যেই সীমিত। সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়, এমন সব উন্নয়নে সরকারের তেমন কোনো নজর নেই। ফলে চার দিকে নানা ক্ষেত্রে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চরম দুরবস্থা। তারই একটি উদাহরণ হচ্ছে সরকারের রেলপথ উন্নয়নে চরম অবহেলা। কয়েক দিন আগে সিলেটে একটি রেলসেতু ভেঙে বেশ কয়েকটি বগি খাদে পড়ে বড় ধরনের এক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেক লোক নিহত ও আহত হয়। এর পরও রেলসেতুগুলো ও রেলপথ মেরামতে সরকারের কোনো নজর নেই। অথচ নড়বড়ে রেলসেতু ও রেলপথ এখন হয়ে উঠেছে মানুষের মৃত্যুফাঁদ। গতকাল একটি ইংরেজি দৈনিক ও একটি জাতীয় বাংলা দৈনিক রেলের বিদ্যমান চরম দুরবস্থা সম্পর্কে দু’টি œ উদ্বেগজনক খবর প্রকাশ করেছে।
বাংলা দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ কুলাউড়ার দুই রেলসেতুতে নষ্ট স্লিপার, আলগা নাটবল্টু, ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। পাশাপাশি দু’টি রেলসেতুর বেশির ভাগ কাঠের স্লিপার পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে কাঠের স্লিপার ও গার্ডার আটকানোর জন্য ব্যবহৃত বেশির ভাগ নাটবল্টুও নেই। যে ক’টি আছে, তা-ও নড়বড়ে। হাত দিয়ে টানলেই খুলে যায়। কিছু কিছু জায়গায় রেললাইন আটকানোর স্লিপারও নেই। এই দুরবস্থা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও লংলা রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ফানাই নদী ও রাউতগঞ্জ ছড়ার ওপর অবস্থিত দু’টি সেতুর প্রতিবেদনে রাউতগঞ্জ সেতুটি সম্পর্কে আরো জানানো হয়েছেÑ এতে কাঠের স্লিপার আছে ৯টি। এর মধ্যে পাঁচটি নষ্ট। প্রতিটি স্লিপারের দুই পাশে রেললাইনের সাথে আটটি করে ক্লিপ থাকার কথা, কিন্তু কোনোটিতে চারটি আবার কোনোটিতে একেবারেই নেই। স্লিপারগুলো নড়বড়ে। একটি আরেকটির সাথে যাতে যুক্ত না হয়, সে জন্য সেগুলোর ওপর কাঠের ফালি বসিয়ে পেরেক ঠুকে দেয়া হয়েছে। একটি ট্রেন সেতুটির ওপর দিয়ে চলে যাওয়ার সময় সেতুটি কেঁপে ওঠে। বলার অপেক্ষা রাখে না, যেকোনো সময় এসব সেতুতে বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অপর দিকে ইংরেজি দৈনিকটির শীর্ষ প্রতিবেদনে ‘ডড়ড়ফ, নধসনড়ড় ঁংবফ ধঃ ৎধরষধিু ঃৎধপশং, নৎরফমবং!’ শিরোনামে রেলওয়ের একই ধরনের চরম দুরবস্থার কথা জানানো হয়েছে। দৈনিকটি আলাদা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সস্তায় ও নিরাপদ পরিবহনব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হওয়া গুডস ট্রেনগুলো এখন আর আগের মতো মালামাল পরিবহন করতে পারছে না এর জরাজীর্ণ পুরনো ফ্রিট ওয়াগনগুলোর কারণে।
সার্বিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন চলছে এক চরম দুরবস্থার মধ্য দিয়ে। এর ফলে ঘন ঘন ঘটছে নানামাত্রিক রেল দুর্ঘটনা। আমরা মনে করি, রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ভুললে চলবে না, দ্রুত অবস্থার উন্নতি না হলে যেকোনো সময় কোনো দুর্ঘটনা অভাবনীয় মাত্রায় জানমালের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের

সকল