২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান যুদ্ধ বেধে যাবে?

বিশ্বশান্তির স্বার্থে আশঙ্কা দূর করুন

-

ইরানের সাথে বিশ্বের প্রধান বৃহৎ শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বেধে যাওয়ার শঙ্কা বেশ কয়েক বছর ধরে বিরাজ করছে। এর পেছনে বিশেষত ইসরাইলের হাত রয়েছে বলে দীর্ঘ দিন ধরে অনুমিত হচ্ছে। তার সাথে অতি সম্প্রতি যোগ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো রাষ্ট্রের কারসাজি। গত শুক্রবার মিডিয়ার খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর তার পরিকল্পিত হামলার অনুমোদন দিয়েও শেষ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। এ খবর শুনে যদিও শান্তিকামী বিশ্ববাসী ক্ষণিকের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন, কিন্তু আমেরিকা-ইরান ভয়াবহ সঙ্ঘাতের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা এবং মধ্যপ্রাচ্যসমেত সমগ্র পৃথিবীতে এর মারাত্মক প্রভাবের বিষয় মানবজাতিকে আরো উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সীমানায় একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে তেহরান সেটি ভূপাতিত করেছে। প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটা ইরানের ‘মহাভুল।’ এর পরই হঠাৎ করে খবর পাওয়া গেল, ওয়াশিংটন ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প তা প্রত্যাহার করেছেন। জানা গেছে, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামলার অনুমোদন দেয়ার পর আকাশে উড়ছিল আমেরিকার যুদ্ধবিমান আর সাগরে যুদ্ধজাহাজ নিয়েছিল অবস্থান। তাদের মাত্র কয়েক মিনিট পার হলেই মার্কিন মিসাইলগুলো নিক্ষিপ্ত হতো ইরানের গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে হানা দেয়ার জন্য। এমন এক চরম উত্তেজনাকর সময়ে আচমকা এই সশস্ত্র অভিযান ট্রাম্প বাতিল করে দেন। শুক্রবার প্রত্যুষে এ ঘটনা ঘটেছে। আগের দিন হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। দৃশ্যত এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র যে হামলার পদক্ষেপ নিয়েছিল, এটা হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হয়ে দাঁড়াত।
এ দিকে অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে যুদ্ধে জড়াতে নানাভাবে চেষ্টা করছে। ট্রাম্প হামলার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করলেও যেকোনো সময় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ‘ট্রাম্প কেন ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে তা থেকে সরে এলেন, এটা স্পষ্ট নয়।’ বৃহস্পতিবার ড্রোন ভূপাতিত করা প্রসঙ্গে ইরানের দাবি, এটি ইরানের পানিসীমায় ঢুকে পড়ায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে তা ভূপাতিত করা হয়। আর পেন্টাগনের বক্তব্য, এই টহল ড্রোনটি আন্তর্জাতিক পানিসীমার মধ্যেই ছিল।
আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বিরোধ যাতে যুদ্ধ বা হামলায় পর্যবসিত না হয়, এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার যথাসাধ্য তৎপর হওয়া জরুরি। অন্যথায়, কেবল ইরান বা মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের শান্তি নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং সবাইকে এ জন্য চরম ক্ষতির শিকার হতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল