১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস

সময়মতো পরিশোধ করা হোক

-

ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদের দাবি বাংলাদেশ প্রভূত অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করেছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে দেশ। আর উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। বাস্তবতা হচ্ছে যাদের শ্রমে দেশের অগ্রগতি ও উন্নতি নির্ভর করছে তাদের ভাগ্য ফেরার লক্ষণ নেই। বরাবরের মতো অর্থনীতির প্রধান খাত তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের একটা অংশকে ন্যূনতম পাওনার দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। ঈদের আগে তাদের বেতন-বোনাস প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। একই অবস্থা বেসরকারি খাতে পরিচালিত অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমজীবীদের। তাদের ন্যূনতম মজুরি যেমন কাক্সিক্ষত লেবেলের অনেক নিচে সেই মজুরি আবার সময়মতো পরিশোধও করা হচ্ছে না। এবারো ঈদের আগে বেতন-বোনাস প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছেন।
তৈরী পোশাক শিল্প শ্রমিকেরা ঈদের আগে নির্ধারিত সময়ে বেতন-বোনাস প্রাপ্তির দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে শ্রমিকেরা গতকাল ২৬ মের মধ্যে বেতন-বোনাস প্রাপ্তির নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এর মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়িত না হলে তারা আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ বৃহত্তর ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যেখানে পোশাক শিল্প রয়েছে এর মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গেছে। চট্টগ্রামে শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ না করেই কিছু কারখানা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকেরা সেখানে বিজিএমইএ’র চট্টগ্রাম অফিসের সামনে ধরনা দিয়েছেন। রাস্তা অবরোধের চেষ্টাও তারা করেছেন। একই অভিযোগ সারা দেশে কিছু পোশাক মালিকের বিরুদ্ধে রয়েছে। তারা শ্রমিকদের বঞ্চিত করে নিজেদের লাভ বাড়িয়ে নিতে চান। রমজানের ঈদে সবার বাড়তি চাহিদা থাকে। সাধারণত সারা বছরের পোশাক ও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস এই সময় কেনা হয়। এবার ঈদের সময়টা পড়েছে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। এ সময় সাধারণত শ্রমিকদের বাসাভাড়া পরিশোধ করতে হয়। বেতন-বোনাস না পেলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা দূরে থাক তারা অতি প্রয়োজনীয় বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন না। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বেতন-বোনাস যদি একেবারে শেষ মুহূর্তে পান তাহলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা তারা করতে পারেন না। বিষয়টি মালিকদের মাথায় থাকা উচিত। পোশাক শ্রমিকেরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। ঈদে তারা মা-বাবাসহ নিকটাত্মীয়দের সাথে মিলিত হন। সেজন্য তাদের দূরের পথ অতিক্রম করতে হয়। তার আগে স্বজন ও নিজেদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে চান। সময়মতো বেতন-বোনাস না পেলে সেটা সম্ভব হবে না।
ঈদ ও উৎসবে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোনাস ও উৎসবভাতা পাচ্ছেন। সরকারের সাথে বেসরকারি উদ্যোক্তারাও তাদের কর্মীদের উৎসবভাতা দিচ্ছেন। গার্মেন্ট শিল্পের কিছু ক্ষেত্রেও এটি চালু হয়েছে। শ্রমিকদের একটা অংশ তাদের ন্যায্য পাওনা পাচ্ছেন না। পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য। কৃষি শ্রমিকের পরই পোশাক শ্রমিকদের অবস্থান। এদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ নারী। এদের বেতন-বোনাস নিয়ে হেলাফেলা চলতে পারে না। সরকারের পক্ষ থেকে পোশাক শিল্প মালিকেরা নানা ধরনের বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাদেরও উচিত পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করে দেয়া। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন। সরকারকেও শ্রমিকদের পাওনা পেতে সহযোগী হওয়া উচিত।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সকল