২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
খাবার পানির তীব্র সঙ্কট

রমজানেও দুর্ভোগে রাজধানীবাসী

-

এমনিতে চলছে তাপদাহ; তার ওপর তীব্র পানিসঙ্কটে রাজধানীবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঢাকা মহানগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় পানিসঙ্কট দেখা দিয়েছে। তীব্র গরমে এক দিকে পানির চাহিদা বেড়েছে, অন্য দিকে ওয়াসার পানির উৎপাদন গেছে কমে। এ কারণে বাসায় জেনারেটর চালিয়েও পানি তোলা যাচ্ছে না। পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা বাড়লেও ঢাকা ওয়াসা সে অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে পারছে না। পানিসঙ্কট আর গরমে নগরীর বহু এলাকায় রোজাদাররা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। তারা ঠিকমতো খাওয়া ও গোসল করতে পারছেন না। একাধিক স্থানে পানির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
পানির অভাবে সাহরি-ইফতারিতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে রোজাদারদের। এ ছাড়া গরমে গোসল ও অন্যান্য কাজেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক স্থানে বাসাবাড়িতে ওয়াসার সরবরাহ করা পানি খাওয়ার উপযুক্ত নয়। এ জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ওয়াসার পাম্প থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। গভীর রাতেও পানির জন্য লাইন দিতে হচ্ছে। অনেকসময় পানি আগে-পরে নেয়া নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। এতে পাম্প অপারেটররা পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেন। ফলে খালি হাতে অনেককে ঘরে ফিরতে হয়। গরমের সাথে পানিসঙ্কটে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রোগ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে।
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রোজার আগে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ওয়াসার এমডি জানিয়েছিলেনÑ ‘ঢাকা ওয়াসার দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ২৫৫ কোটি লিটার। আর দৈনিক চাহিদা ২৫০ কোটি লিটার। এ ছাড়া শুষ্ক মওসুম ও রমজান মাসে জরুরি প্রয়োজনে ৪৩টি পানির গাড়ি এবং ৩৪টি ট্রলি প্রস্তুত আছে। বলা হয়েছিল, গ্রাহক কোনো সমস্যায় পড়লে ডিজিটাল কলসেন্টার ওয়াসা লিংক ১৬১৬২-তে ফোন করে জানাতে পারবেন। ৪৩৫টি ফিক্সড এবং ১০টি মোবাইল জেনারেটর স্ট্যান্ডবাই রাখা আছে। কোনো পাম্প বিকল হলে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে মেরামত করে চালু করা হবে। ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনসহ ১২টি অভিযোগ কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। ইফতার ও সাহরির সময় জনসমাগমস্থলে ট্রলি ও ভ্যানগাড়িতে করে বিশেষ ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ করা হবে। গভীর নলকূপগুলো যাতে লোডশেডিংয়ের সময়ও চালু রাখা যায়, সে জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পানির পাম্প মনিটরিংয়ে ১১টি ভিজিলেন্স টিম তৎপর থাকবে।’
বাস্তবে ওয়াসার এসব তৎপরতা খুব একটা দেখা যায় না। উপরন্তু রমজান ও গরম শুরু হতেই নগরীর সর্বত্র দেখা দিয়েছে পানির সঙ্কট। কোনো কোনো এলাকায় কয়েক দিন পানির সঙ্কট চলছে। পানি না থাকায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সবাই। অনেক এলাকায় উঁচু-নিচু পাইপের কারণে সব বাড়িতে নিয়মিত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, তীব্র গরম ও রোজার কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য কিছু এলাকায় পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মানুষ পানি ‘বেশি ব্যবহার করা’য় সঙ্কট হচ্ছে। দু-এক দিন বৃষ্টি হলে এ সঙ্কট কেটে যাবে।
পানির অপর নাম জীবন। অথচ রাজধানীবাসী গরমে ও পবিত্র রমজানে চাহিদামতো পানি পাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষকে শুধু কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে তারা নগরবাসীর প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহে আন্তরিক। রাজধানীর পানিসঙ্কট মোকাবেলায় ঢাকা ওয়াসা দ্রুত পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেবে, এটিই জনদাবি।


আরো সংবাদ



premium cement
ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ ‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায়

সকল