২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ইসির পর্যবেক্ষকদের ব্যর্থতা

দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার

-

দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে ইসির ব্যর্থতা সীমাহীন। কিন্তু ইসিকে কখনোই এসব ব্যর্থতা স্বীকার করতে দেখা যায় না। প্রতিটি নির্বাচন শেষেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সেই একই বক্তব্য দিয়ে আসছেন : বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। কখনো তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। নির্বাচনে কারচুপি, ভোট ডাকাতি, অনিয়ম, ভোটের আগের রাতে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম প্রশ্নে কোনো অভিযোগই ইসি আমলে নেয়নি। এ ধরনের অভিযোগের সাথে জড়িত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তাবাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিয়েছেন এমনটিও শোনা যায়নি। কিন্তু অতি সম্প্রতি শোনা যায়, নির্বাচনী অনিয়মের তাৎক্ষণিক তথ্য দেননি বলে নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ ইসি।
সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিক গতকাল এক খবরে জানিয়েছেÑ সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে নিয়োজিত ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসি। সম্প্রতি চার ধাপে সমাপ্ত এই নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা ও নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগের রাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে ভোটে অনিয়মের তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাননি। এমনকি ভোটের আগের রাতে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ব্যালটসহ নির্বাচনী মালামাল ঠিকঠাক আছে কি নাÑ তাও দেখার কথা ছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইসির আনুষ্ঠানিক বৈঠকে জবাবদিহি করতে হয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে নানা অনিয়মের বিষয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক তথ্য না দেয়ায় ক্ষুব্ধ ইসি। আগামী নির্বাচনগুলোতে যেকোনো তথ্য নির্ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছেÑ অতীত নির্বাচনগুলোতে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা যে, অনিয়মকে নীরব সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী ফল পরিবর্তনে সহায়তা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শুধু ইসির ক্ষুব্ধ হওয়াই যথেষ্ট কি? এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা দরকার। শুধু পর্যবেক্ষকেরাই নয়, অন্য যেসব কর্মকর্তা বিভিন্ন নির্বাচনে নানা ধরনের নির্বাচনী অনিয়মের সাথে জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি না করায় বাংলাদেশে নির্বাচন এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের ওপর জনগণের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই। এর ফলে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিরা আর নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন না। যারা অতি সাহস নিয়ে এখনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তারাও নির্বাচনী অনিয়মের শিকারসহ নানা ধরনের হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। ফলে ইসি তাদের পর্যবেক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ হলে জাতির কোনো উপকার হবে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, নির্বাচনী নানা ঘটনা বারবার প্রমাণ করছে ইসি সাধারণভাবে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ স্বীকারোক্তি দিয়ে ইসির শীর্ষ ব্যক্তিদের সরে দাঁড়ানো উচিত এবং যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অতীত নির্বাচনী অনিয়মের সাথে জড়িত ছিল তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার। নইলে বাংলাদেশে আর কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার : পরিবেশমন্ত্রী সাকিবকে ডিপিএলে চান বিসিবি প্রধান নির্বাচক কাতারের সাথে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি টি-২০ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল খুলনায় হিটস্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কী বলল যুক্তরাষ্ট্র? জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের

সকল