জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার
- ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি বছর মহা দুর্ভাবনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। প্রায় একই সময় ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে হয়। অনেকে ঠিক সময় পৌঁছতে না পেরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। দেখা গেল দেশের অন্যতম দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাছাকাছি তারিখে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি আবার দেশের দুই প্রান্তে অবস্থিত। এ রকম অবস্থায় ছাত্ররা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে পড়ে যান। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে দীর্ঘ জার্নি করে সুস্থ শরীরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় না। দেশে ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে কোনো সমন্বয় নেই। প্রতি বছরই বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ভর্তি ইচ্ছুকদের। এ সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কথা আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে এ নিয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের ভোগান্তি রয়ে গেছে।
দেশে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে ফল বেরোনোর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকার্যক্রম শুরু হবে। গত বছর জানুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত বা গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ কাজ বাস্তবায়নে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনের খবর এখন স্পষ্ট করে কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেছেন, সবার সদিচ্ছা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রীর এ কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে এবারো সম্ভবত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন হচ্ছে না। যদিও এ ব্যাপারে প্রায় সবার ঐকমত্য রয়েছে যে, অন্ততপক্ষে সমন্বিত পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে। এর ফলে আরো বেশ কিছু উপকার পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের পছন্দনীয় বিষয় পাওয়ার অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি হবে। যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। অন্য দিকে, আসন খালি হয়ে গিয়ে প্রতি বছর যে বিপুল অপচয়ের ঘটনা ঘটছে সেটিও অনেকটা হ্রাস পাবে। গাইড ও কোচিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম্যও কমে যাবে। ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা পরীক্ষার আয়োজন না হয়ে যদি সমন্বিতভাবে পরীক্ষার সংখ্যা সীমিত করে আনা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা লাভবান হবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও পড়ার বিষয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে করে হয়রানি, আশঙ্কা ও উদ্বেগ কমবে। শিক্ষার্থীদের অর্থের অপচয়ও রোধ হবে।
দেশের বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় হয়। এ দিয়ে সংশ্লিষ্টরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। গাইড বিক্রেতা, কোচিং ব্যবসা পরিচালনাকারীরা রমরমা ব্যবসা করতে পারেন। সমন্বিত পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে সুবিধাবাদী শ্রেণী বাধা হতে পারে। এই পথে অগ্রসর হতে হলে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে দৃঢ়তার সাথে অগ্রসর হতে হবে। আমরা মনে করি, ভর্তি ইচ্ছুকদের স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অচিরেই বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। এ বছর সেটি বাস্তবায়ন করতে হলে সময় কিন্তু বেশি নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা