২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চাকায় পিষ্ট করে ছাত্র হত্যা

যাত্রী ও স্টাফদের মধ্যে সুসম্পর্ক কাম্য

-

যানবাহনে যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতগামী বড় যানবাহনে ক্ষণিকের ভুলের কারণেও যে কারো প্রাণ যেতে পারে। জানালা দিয়ে হাত-মাথা বাইরে রাখলে চলন্ত গাড়িতে জীবনহানির শঙ্কা থাকে। গাড়িতে ওঠা ও নামার সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাবলিক বাসের হেলপার ও চালকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। তাদের সামান্য অসতর্কতায় যেকোনো সময় যাত্রীর প্রাণ যেতে পারে। শনিবার বিকেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের প্রাণ গেছে চাকায় পিষ্ট হয়ে। তিনি ওই গাড়ির যাত্রী ছিলেন। চালক ও হেলপার ‘স্বেচ্ছায়; এমন প্রাণহানি ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তারা যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে দেয়ার পরিবর্তে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাকায় পিষ্ট করে মেরেছেন।
বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে বড় বড় শহর নগর বন্দর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কাজের প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে দূরবর্তী বিভিন্ন জায়গায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অবলম্বন বাস বা মিনিবাস সার্ভিস। সারা দেশে অসংখ্য এমন সার্ভিস গড়ে উঠেছে। শনিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটি বাসে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন ছাত্র উঠেছিলেন। তারা মৌলভীবাজারের শেরপুরে এসে বাস থেকে নেমে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভাড়া নিয়ে তাদের সাথে বাসের হেলপার ও চালকের বাগি¦তণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভাড়া পরিশোধ করে ছাত্ররা বাস থেকে নেমে আসছিলেন। ওয়াসিম আফনান ছিলেন সবার পেছনে। বাস থেকে নামার আগেই তাকে হেলপার ধাক্কা দিলে তিনি ওই গাড়ির নিচে পড়ে যান। চালক দ্রুত তার ওপর দিয়ে বাসটি চালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে, এটি ‘পরিকল্পিত হত্যা’। চালক ও হেলপার এ জন্য দায়ী। বাসে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও হেলপার-চালকের বাগি¦তণ্ডা একটি নিয়মিত ব্যাপার। এ নিয়ে প্রায়ই মারামারি-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অনেক সময়ই যাত্রীদের কাছে অন্যায্য ভাড়া দাবি করা হয়। অনেক যাত্রীর ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া দিতে চান। ছাত্রদের ক্ষেত্রে অর্ধেক ভাড়ার বিষয়টি বিতণ্ডার অন্যতম প্রধান কারণ। এটি কর্তৃপক্ষকে নির্ধারণ করে দেয়া উচিত, যাতে চলমান বাসে কোনো বিতণ্ডা সৃষ্টি হতে না পারে। চালক ও হেলপারের সঙ্গত ও যৌক্তিক আচরণও থাকা জরুরি। চালকের লাইসেন্স কারা পাবে, তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয় না। যাত্রীদেরও সঙ্গত আচরণ দেখাতে হবে। তবে চলমান যানবাহনে সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতির জন্য যেহেতু প্রাণ চলে যেতে পারে, সেজন্য হেলপার ও চালকের সংযম প্রদর্শনের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।
সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে জোরদার আন্দোলন হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আফনান নামের ছাত্রটি বিতণ্ডায় বাস স্টাফদের হিংসার শিকার হয়েছেন বলে মনে হয়। বাংলাদেশে সড়কে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে হলে যাত্রী ও গাড়ির স্টাফদের কোড অব কন্ডাক্ট থাকা দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম

সকল