২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
এনটিআরসিএ’র পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ

শিক্ষক নিয়োগ সুশৃঙ্খল করতে হবে

-

আধুনিক বিশ্বে যেকোনো দেশের অগ্রগতিতে মানসম্মত শিক্ষা অন্যতম প্রধান উপাদান। উন্নয়ন আর অগ্রগতি কার্যকর শিক্ষার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিশেষ করে আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে শিক্ষার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সবার সাথে তীব্র প্রতিযোগিতা করেই আমাদের সামনে এগোতে হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার প্রধান হাতিয়ার মানসম্পন্ন শিক্ষা। যে দেশ শিক্ষায় যত অগ্রসর, সে দেশ বিশ্বব্যাপী তত প্রভাব বিস্তারে সক্ষমতা অর্জন করছে। অথচ বেদনার বিষয় হলোÑ আমাদের দেশের শিক্ষার মান এখনো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। আমরা দেশের শিক্ষাকে বর্তমান বিশ্বের উপযোগী করতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও এই ব্যর্থতা জাতীয় জীবনে সত্যিই একটি চরম লজ্জা। এ দিকে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় এর কুফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে এ জাতি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একধরনের অগোছালো ভাব লক্ষণীয়। পাবলিক পরীক্ষা থেকে পাঠ্যক্রম প্রণয়নসহ প্রতিটি স্তরে তা স্পষ্ট।
আমাদের সবার জানা, উন্নত শিক্ষার জন্য চাই মানসম্পন্ন শিক্ষক। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে দিন দিন মানসম্পন্ন শিক্ষক কমে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার মান হচ্ছে নি¤œগামী। দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়। এ জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপরও সরকারের কর্তৃত্ব অনেকাংশে বহাল রয়েছে। কিন্তু স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, বেসরকারি শিক্ষকেরা বৈষম্যের শিকার। তাদের বেশির ভাগেরই অর্থনৈতিক ভিত শক্ত নয়। অথচ দেশের মোট শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়া করে। তাদের শিক্ষাদানের গুরুদায়িত্ব বর্তেছে বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর। তাদের প্রতি বৈষম্য জাতির জন্য সুখকর হতে পারে না। কারণ, বৈষম্য জিইয়ে রেখে তাদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন শিক্ষা আশা করা যায় না। তাই সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করা জরুরি।
এ কথাও ঠিক, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার মানদণ্ডে হয়ে থাকে প্রশ্নবিদ্ধ। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। এ দিক থেকে দেখলে, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গঠন করে কেন্দ্রীয় একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে; তা ইতিবাচক। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামীতে সব শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে দেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা শিক্ষক নিয়োগে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।
নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এনটিআরসিএ’র আওতায় আনা হচ্ছে সব বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগকার্যক্রম। বর্তমানে শুধু বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাঠাচ্ছে এনটিআরসিএ। বিদ্যমান আইনের সংশোধনীর পর বেসরকারি স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষসহ সব বিষয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীকে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এসেছে। কিছু দিনের মধ্যেই এ নিয়ে কাজ শুরু হবে। এ পরিবর্তন এলে সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মান ও শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের কর্তৃত্ব এবং নিয়োগবাণিজ্য বন্ধ হবে বলেও আমাদের একান্ত প্রত্যাশা।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল