১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ধর্ষণ ও পাষণ্ডতা বেড়েই চলেছে

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে

-

হঠাৎ করে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। সারা দেশ থেকে ধর্ষণ ও ধর্ষণপ্রচেষ্টার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর সাথে পাষণ্ডদের চরম বিকৃত যৌনাচারের নজিরবিহীন চিত্র উঠে আসছে। শিশুদের ওপরও চলছে তাদের পৈশাচিকতা। কোথাও কোথাও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে। সর্বশেষ জানা গেল ফেনীতে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে এক কলেজছাত্রীসহ তিন নারীকে। নির্বাচনের পরপরই নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করা হয় এক গৃহবধূকে। রাজধানীর ডেমরায় দুই শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে তাদের হত্যা করেছে দুই পাষণ্ড। বৃহস্পতিবারের সংবাদমাধ্যমে আরো ধর্ষণের খবর রয়েছে। এভাবে পৈশাচিকতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে সমাজে আইনের শাসনের বিদ্যমানতার সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে অপরাধীদের বিচার হয় না, সেখানে এ ধরনের বিকৃতির বিস্তার ঘটা অস্বাভাবিক নয়।
ফেনীতে তিন নারীকে উদ্ধারের ঘটনায় কলেজপড়–য়া এক ছাত্রীও রয়েছে, যাকে তিন মাস পর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেখানে পাওয়া গেছে আরো দুই নারীকে। তাদের ওপর দিনের পর দিন ধর্ষণ চালানো হয়েছে। রাজধানীর কলেজপড়–য়া ছাত্রীর সাথে ফেনীর রামপুরের নিলয়ের পরিচয় হয় মোবাইলে। এরপর সেটি গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ওই তরুণী পরিবারের সাথে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে নিলয় তার বাবা-মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফেনীর মহিপালে তাকে নামিয়ে নেয়। তাকে সৈয়দ বাড়ির কাশেম কটেজে আটক করে। মেয়েটিকে ওই বাসায় আটক করে তার মোবাইল নিয়ে নেয়া হয়। সে ওই বাসায় দেখতে পায় আরো দুই নারীকে। সে জানতে পারে ওই দু’জনকে এখানে আনা হয়েছে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে। তাদের আটক করে এখানে দেহব্যবসা করানো হয়।
মোবাইলে পরিচয়ের মাধ্যমে অনেকের সর্বনাশ ঘটছে। কিন্তু এ ধরনের অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। ফলে এই সর্বনাশা কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। একইভাবে চাকরি দেয়া, বিয়ে করার মতো প্রলোভনের টোপ প্রতারকেরা ব্যবহার করছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছেÑ ছোট শিশুদের ওপর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা। রাজধানীর ডেমরায় চার ও পাঁচ বছরের দুই শিশুকে লিপস্টিক দেয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে আটক করে দুই পাষণ্ড। শিশুদের কান্নার কারণে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে গলা টিপে হত্যা করে তারা। এ ধরনের ঘটনা এর আগেও দেখা গেছে। নির্বাচনের পরপরই নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। ধর্ষকেরা এলাকায় প্রভাবশালী ও রাজনীতির সাথে জড়িত। একই দিন খবর হয়েছে, সাতক্ষীরায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার এবং চুয়াডাঙ্গার যৌন হয়রানির পর স্কুলশিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার।
দেশে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে অহরহ এমনটি ঘটার কথা নয়। নারীর প্রতি সহিংসতা উপর্যুপরি বেড়ে চলার পেছনে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিও দায়ী। নারীদের দুর্বল বলে ভাবা হয়। আবার তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হলে সেটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। গণধর্ষণ, আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও শিশুদের ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার এসব পাষন্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিলে আশা করা যায় এমন অপরাধের মাত্রা কমবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল