সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন
- ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। এখন নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। বিরোধী দলের প্রার্থীরা আগে থেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালাতে পারবেন না। এই সংশয় দূর করতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ বছর নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনে কোনো ধরনের রদবদল করা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে।
নির্বাচনী প্রচারের সময় যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয়, সে জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশনা ও আচরণবিধি যাতে সব প্রার্থী মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের মাঠে রয়েছে ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি। এসব কমিটির কাছে নির্বাচনী অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। কোনোভাবেই একচক্ষু নীতি অবলম্বন করা যাবে না।
নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এখন জরুরি দিক হচ্ছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় বন্ধ করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্ট অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রায় ২৬ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তায় থাকবে ৩৩ হাজারের বেশি অস্ত্রধারী পুলিশ। এসব কেন্দ্রের কোথাও দু’জন, কোথাও একজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে।
মনে রাখতে হবে, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে প্রার্থী ও ভোটারদের সহযোগিতার সম্পর্ক প্রয়োজন। দীর্ঘ দিন পর এ দেশের মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটদানের সুযোগ পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে মানুষ ভোটদানের ব্যাপারে অত্যন্ত উদগ্রীব। প্রশাসনকে মানুষের ভোটদানের এই সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রচারণার সময় থেকে যদি প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়বে। ক্ষোভ ও হতাশা থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা