১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জলবায়ু বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে

প্রয়োজনীয় সচেতনতা নেই

-

উষ্ণতা বেড়ে চলার সাথে সাথে পরিবেশের ক্ষতির সম্পর্ক রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, নানা ধরনের দুর্যোগ এ কারণেই বাড়ছে। বিশেষ করে সাগরপাড়ের দেশগুলোতে বিপর্যয় আছড়ে পড়ছে। মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি সম্পদের ব্যাপক হানি হচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। সাগর থেকে উঠে আসা ঝড়ঝাপ্টা উপকূলে আছড়ে পড়েছে। পোল্যান্ডের কাতোয়িস শহরে সম্প্রতি বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০১৯’ প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ক্ষতির আশঙ্কা আগের থেকে অনেক বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। এই দেশের মানুষেরা ঝড়ঝাপ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে ও পরে সেভাবে সাহায্য-সহযোগিতা পায় না। নিজেদের মধ্যেও এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে ওঠে না। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, দুর্যোগের জন্য উন্নত দেশ বহুলাংশে দায়ী। এ ধরনের ঝুঁকির বিপরীতে উন্নত দেশগুলোর যে ধরনের দায়িত্ব পালন করা দরকার তা তারা করে না। বরং আমেরিকার মতো দেশ এসব ব্যাপারে একেবারে দায়-দায়িত্বহীন থাকতে চাচ্ছে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০১৯-এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে সপ্তম। ১৯৯৮ সাল থেকে এই ইনডেক্স প্রকাশ করা হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে পুয়ের্তোরিকো ও শ্রীলঙ্কা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার ক্ষতি বিশ্লেষণ করে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। ২০১৭ সালের জন্য তৈরি করা বার্ষিক এমন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নবম। তার আগের বছর ছিল ১৩তম। নেপাল ২০১৭ সালে ছিল চতুর্থ স্থানে, ভারত ছিল ১৪ স্থানে। গত বছর বাংলাদেশে বন্যা, ভূমিধস, ঝড় ও ঘূর্ণিঝড়ে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০৭ জন। বার্লিনভিত্তিক পরিবেশবিষয়ক সংগঠন জার্মানওয়াচের তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ৮২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অন্য একটি সংস্থা ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে চরম প্রতিকূল অবস্থা বাড়তে থাকবে। ওই সূচকে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়া ভালোভাবে আক্রান্ত হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণে নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে বন্যা দেখা দেয়। এতে আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে চার কোটি মানুষ। এ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বন্যা দেখা দিয়েছে হিমালয়ের পাদদেশের এলাকাগুলোতে। এতে হয়েছে ভূমিধস। ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার বাড়ি। কৃষিজমি ও সড়কের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে।
প্রকৃত ব্যাপার হলো, মানবসভ্যতার সাথে বিপর্যয় সব সময় ছিল। মানুষ এগুলো ঠিক প্রতিরোধ করতে পারে না। যে পরিমাণ শক্তি নিয়ে একেকটি বিপর্যয় সামনে আসে, মানুষের কাছে সেটা প্রতিরোধ করার কোনো শক্তি থাকে না। কিন্তু এ ধরনের বিপর্যয়ের পেছনে মানুষের দায় থাকে। যেমন বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মানুষ সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে। আরেকটি ব্যাপার হলো, এ ধরনের বিপর্যয় থেকে মানুষের জন্য শিক্ষা থাকে। থাকে চেতনা জাগানোর উপাদান। ইতিহাসে দেখা গেছে, মানুষ এগুলো থেকে স্রষ্টা যে শিক্ষা দিতে চায়, সেটা গ্রহণ করে না। বাংলাদেশের বিপর্যয়ের ইতিহাস থেকে আমরাও শিক্ষা নিইনি। আগে যেভাবে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস হয়েছে এখনো সেটা হতে পারে। এগুলোর সাথে মানুষের আচার-আচরণ পরিবর্তনের তাগিদ থাকে। সেই পরিবর্তন কিন্তু মানুষের মধ্যে দেখা যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় মা-ছেলে নিহত, আহত বাবা-মেয়ে দিরাইয়ে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই : গ্রেফতার ৪ ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল স্নান করতে গিয়ে দূর্গাসাগর দীঘিতে ডুবে একজনের মৃত্যু ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

সকল