২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে সিডিআই

নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হবে

-

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু একটি নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা অপরিহার্য। রাজনৈতিক পরিভাষায় এরই নাম ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ সৃষ্টি বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব ভয়ঙ্করভাবে দৃশ্যমান।
এক দিকে, একপক্ষ ক্ষমতায় থেকে সরকারি নানা সুবিধা ভোগ করে নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা করছে। অপর দিকে সরকারবিরোধীরা সরকারের অযাচিত দমন-পীড়ন মামলা-হামলা ও নানা ধরনের হয়রানি মাথায় নিয়ে নির্বাচনে মাঠে আছে চরম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। সংসদ বহাল থাকায় সরকারি দলের বেশির ভাগ প্রার্থী সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। সে জন্যই বিরোধী মহল থেকে দাবি উঠেছিল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির প্রয়োজনে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দলনিরপেক্ষ একটি নির্বাচনী সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে সায় দেয়নি। অপর দিকে সরকারি দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনী অভিযান কায়েম রেখেছেন। অপর দিকে বিরোধী বলয়ে থাকা দেশের সবচেয়ে বড় দলের নেত্রী এবং তিন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নানা ধরনের হয়রানিমূলক মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর ফলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ।
এমনি প্রেক্ষাপটে ইউরোপভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন সেন্ট্রিস ডেমোক্র্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল (সিডিআই) সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালনা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকায়নের নিন্দা জানিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসিকে পক্ষপাতমূলক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা এবং নিরপেক্ষ ও ন্যায্য গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশ সরকারের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। সিডিআই নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য বলতে ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার অংশ নেয়ার অনুমতি দিতে হবে। এতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। একই সাথে নির্বাচনের আগে কারাগারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সিডিআই প্রতিনিধিদল দেখা করার প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক সহায়তা প্রদানে পররাষ্ট্রবিষয়ক ইইউ উচ্চপদস্থ প্রতিনিধির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন পরিচালনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যাহত রাজনীতিকরণ বন্ধ করতে হবে। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি।
আমরা মনে করি, এটি একটি যৌক্তিক প্রস্তাব। কারণ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিলে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অধিকতর ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর ফলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে দেশে-বিদেশে। আমরা মনে করি, সরকার ও ইসি সিডিআইর প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইতিবাচক সাড়া দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement
শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাব : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ৪

সকল