২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
জনগণের চাওয়াটা মৌলিক

প্রথমে গণতন্ত্রে উত্তরণ জরুরি

-

রাজনীতিতে একে অন্যকে ব্যবহারের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। ঐতিহ্য না বলে মন্দ উপমা হিসেবেও বিষয়টি দেখা যায়। রাজনীতিতে একদল মানুষ সব যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু রাজনীতিতে নয়, যেখানে ক্ষমতা আছে, অর্থ ও দাপটের বিষয় আছে সেখানেই একশ্রেণীর বিশ্বাসঘাতক থাকাটা যেন সাধারণ নিয়ম। রাজনীতির সাথে যেহেতু ক্ষমতা, দাপট, অর্থবিত্ত আছে, তাই রাজনীতিতে মোসাহেব থাকাটা স্বাভাবিক ভাবা হয়। যারা রাজনীতিতে ব্যবহৃত হনÑ তারা নিজেরা এটাকে মোসাহেবি বলেন না, তারা এটাকে কৌশল হিসেবেই দেখেন এবং সেভাবেই আচরণ করেন।
জাতীয় নির্বাচন সামনে, অনেক ধরনের মেরুকরণ লক্ষণীয়। ডান-বাম, ইসলামপন্থী, নাস্তিক কারো কোনো আদর্শ নেই এখন আসল কথা ভোটে জেতা, তাই রাজনীতিবিদেরা যেমন দলীয় আদর্শ ও বিঘোষিত নীতি ভুলে সবাইকে ভোটের স্বার্থে কাছে টানছেন, তেমনি ব্যবহৃত হওয়ার জন্য একদল মানুষ প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন। যে দেশের রাজনীতিতে এ ধরনের সুবিধাবাদ বেশি থাকে, সে দেশে বাস্তবে আদর্শিক রাজনীতি ঠাঁই পায় না। বাংলাদেশের ভোটযুদ্ধে যারা শরিক হচ্ছেন তারা ব্যতিক্রম ছাড়া কেউ ব্যবহৃত হচ্ছেন, কেউ ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে বাস্তবে সুবিধাবাদই ঠাঁই পায়। তাই জনগণ ভোট দিয়েও কাক্সিক্ষত পরিবর্তন দেখতে পায় না।
এবার ক্ষমতার জন্য লড়াইটা অনেক ক্ষেত্রে গুণগত, অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতার জন্য ক্ষমতা, এভাবেই জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষিত সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীনেরা চাচ্ছে যেভাবেই হোক তাদের জিততেই হবে। এটাই তাদের কাছে বড় বিষয়। হারজিত দিয়েই তারা নিজেদের রাজনৈতিক ভাগ্য বিপর্যয় ও সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি ভাবছে। অন্য দিকে, বিরোধী দল ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা এবার নির্বাচনের মাঠে মেরুকরণটাকে কিছুটা গুণগত বিষয় হিসেবে দেখছে। তারা ভাবছে, ন্যূনতম কর্মসূচিতে একটি ঐকতান সৃষ্টি করা। গণতন্ত্র উদ্ধার করা জরুরি। গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটানোটাই এখন মুখ্য। কারণ, দেশ যারা পরিচালনা করেছে, এখনো করছে তারা গণতন্ত্রকে মুলতবি রেখেই সরকার পরিচালনা করেছে। তাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আর সক্রিয় নেই। দলীয়করণের কারণে সব প্রাতিষ্ঠানিকতা ভেঙে পড়েছে। দলতন্ত্র ঠাঁই দিতে গিয়ে বিরোধী দল, ভিন্নমত কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেনি। প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-আদালত কোথাও সংবিধান অনুসৃতির বালাই নেই। তাই বিরোধী দল আপাতত গণতন্ত্রে উত্তরণটাকেই মুখ্য ভেবেছে। এ কারণেই বলা চলে বিরোধী দলের রাজনীতিতে গুণগত কিছু রাজনীতির ছোঁয়া আছে। যারা ভিন্ন ভিন্ন দল করেন, আলাদা আলাদা আদর্শের অনুসারী তারা সবাই গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। সাংবিধানিক ধারায় দেশ পরিচালনার কথা ভাবছেন।
আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে জনগণের মনের চাওয়াও গণতন্ত্রের পথে হাঁটার একটি পথ রচনা করা। ন্যূনতম এই চাওয়াটুকু পূরণ হলে মানবাধিকার পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে। আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। আপাতত এটুকু পাওয়ার জন্যই জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ভোট দেখতে আগ্রহী। নিরাপদে নিজের ভোটটা দেয়ার নিশ্চয়তা চায়। ইসির কাছে জনগণ এই লক্ষ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা চায়। ইসি সে বিষয়টি বিবেচনায় নেবে, না সরকারের ইচ্ছা পূরণের জন্য ভূমিকা পালন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল