২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মহানবীর আবির্ভাব ও তিরোধান দিবস

তাঁর আদর্শই দুনিয়ায় শান্তির উৎস

-

আজ বিশ্বের মুসলমানেরা পালন করছেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: অর্থাৎ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল সা:-এর আবির্ভাব ও তিরোধান দিবস। প্রতি বছর মুসলমানেরা ১২ রবিউল আউয়াল দিনটি পালন করে তাঁর আদর্শকে স্মরণে এনে এবং সে আদর্শ ব্যক্তিগত, সমাজ ও জাতীয় জীবনে পালনের অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
প্রশ্ন আসে, কী তাঁর আদর্শ? মহান আল্লাহর তরফ থেকে তাঁকে মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে কুরআনের বর্ণনা মাফিক, সমগ্র মানবজাতির জন্য একমাত্র যে আদর্শ জীবনবিধান আল্লাহ দিয়েছেন সেটিই তাঁর জীবনের আদর্শ। এর সার কথা হচ্ছেÑ নবীজীবনের শিক্ষা হচ্ছে, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সমূলে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হওয়া। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত পথে, সত্য ও ন্যায়ের পথে হাঁটাই ছিল তাঁর জীবনের পরম আদর্শ।
তাঁর শিক্ষা হলোÑ পৃথিবীর মানুষকে তার ন্যায্য মানবিক অধিকার দিতে হবে, রাজা বাদশাহ-আমির-ফকির কেউ ছোট, কেউ বড় নয়। কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কোনো অবস্থাতেই মাথা নোয়ানো যাবে না। তিনি প্রচার করেছেনÑ মানুষের প্রকৃত মর্যাদা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে আল্লাহর নির্দেশিত পথে সারা জীবন চলার মধ্যে। মানুষ ইহকালে যে কাজ করবে, পরকালে আল্লাহর কাছে এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। যারা আল্লাহ, তাঁর প্রেরিত আসমানী কিতাব, নবী-রাসূল এবং আখেরাতে এবং শেষ বিচারের দিনের প্রতি বিশ্বাস রেখে ন্যায় ও কল্যাণের পথে হাঁটবে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পুরস্কার হিসেবে শাশ্বত শান্তিময় স্থান বেহেশত। তারা সেখানে মৃত্যুর পর অনন্তকাল বসবাস করবেন। যারা সত্যের পথে চলবে না, তাদের জন্য রয়েছে চরম শাস্তির চিরন্তন স্থান দোজখ।
এসব বিশ্বাসকে সম্বল করেই নবী সা: সারা জীবন পথ চলেছেন। তাঁর প্রতিটি কাজের লক্ষ্য ছিল মানুষের কল্যাণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। তিনি এ পথে শত্রুকে করেছেন মিত্র। আরবের অন্ধকার যুগের মানুষকে টেনে এনেছেন আলোর জগতে। তিনি মানুষের আস্থার মূল্য দিতেন। সেই সূত্রে তাঁর সময়ের আরব দুনিয়ায় নিজেকে তির্কাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আল-আমিন বা বিশ্বাসী নামে। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি অসি হাতে যুদ্ধ করেছেন; কিন্তু অন্যায়ভাবে সামান্য আঘাতও দেননি। যুদ্ধবন্দীদের দিয়েছেন অভাবনীয় মানবাধিকার। তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘যার হাতে মানুষ নিরাপদ নয়, সে প্রকৃত মুসলমান নয়।’ তিনি আমাদের সর্বাঙ্গীণ আদর্শ। অপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়ার জন্য আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। ওয়াদা রক্ষায় ছিলেন শত ভাগ আন্তরিক।
মুসলমানেরা যখন ইসলামের স্বর্ণযুগে তাঁর আদর্শ ও ন্যায়ের পথে ছিলাম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন সাফল্য আমাদের হাতের মুঠোয় এসেছিল। যখন তাঁর আদর্শ পালনে আমরা গাফেল হয়ে উঠতে শুরু করি, তখন থেকেই মুসলমানের পতনের শুরু। আজ তাঁর আদর্শচ্যুত হয়ে মুসলিম উম্মাহ পতনের চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আমরা যদি তাঁর আদর্শে ফিরে যেতে না পারি, তবে এ অধঃপতন থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা নেই।
হজরত মুহাম্মদ সা:কে সমগ্র মানবজাতির আদর্শ হিসেবে আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। মানবজাতি সে আদর্শ অনুসরণ করলে আজকের দুনিয়ার অশান্তি, অনাচার, দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতের অবসান হতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত

সকল