২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ ইসি

বিশ্লেষকেরা এমনটিই মনে করছেন

-

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ নেইÑ এমন মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সিইসিকে সংযত হয়ে কথা বলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। ওই সময় সিইসির পাশে ছিলেন না তার সহকর্মী চার নির্বাচন কমিশনারও। সিইসির ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এরা শপথ নিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্যই। সিইসির বক্তব্যের সাথে তিনিও একমত নন। কিন্তু তিন মাসের ব্যবধানে অবস্থান বদলেছেন কবিতা খানম। গত শুক্রবার প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সামনেই বলেছেন, বাংলাদেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন ও আইনবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কবিতা খানমের এমন বক্তব্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য অজুহাত তৈরিতে সহায়ক হবে। তাদেরকে এমন বার্তাই দেয়া হলো, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম নয়। একজন নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্য দেয়া নৈতিকতার পরিপন্থী। এর ফলে শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ ইসি।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার এটা কখনোই বলতে পারেন না। এভাবে কথা বললে কমিশন বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু তারা এভাবে কথা বললে অজুহাত দাঁড় করানো হবে। তারা কর্মকর্তাদের জন্য আগেই অজুহাত তৈরি করে রেখেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে তাদের উচিত পদ ছেড়ে চলে যাওয়া। নির্বাচন কমিশন এমন বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন বক্তব্যের কারণে প্রশ্ন জাগে, নির্বাচন কমিশন আসলেই ভালো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল কি না। এগুলো নির্বাচন কমিশন বেসামাল হওয়ার ব্যাপার কি না, তা জানা দরকার।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক এ ব্যাপারে বলেন, এটি নৈতিকতার ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য। কেউ যদি মনে করে তার পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়, নৈতিক দায়িত্ব পালনে তার আর পদে থাকা উচিত নয়। দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোই এখন তার নৈতিক কাজ।
আমরাও মনে করি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা এবং নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য করে তুলেছেন। সেই সাথে নির্বাচন কমিশনকেও করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের উচিত নৈতিক দায় থেকে তাদের নিজ নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। সেই সাথে তাদের এ ধরনের বক্তব্য ভুল বলে স্বীকার করা।


আরো সংবাদ



premium cement
চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে

সকল