২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্ক

‘এবারের নির্বাচনই গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার শেষ সুযোগ’

-

ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক। পার্লামেন্ট সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এই বিতর্ক অনুষ্ঠান। এতে পার্লামেন্ট সদস্যরা বাংলাদেশের নাজুক পরিস্থিতি, মতপ্রকাশের ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্বকারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা বলেন।
বিতর্কে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ও আইনের শাসনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। সে অর্থে এ নির্বাচনই শেষ সুযোগ। তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সরকারের সমালোচক, আইনজীবীসহ নাগরিকসমাজের ওপর দমন-পীড়ন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন ঘটনা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে।
বিতর্ক শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে একটি খসড়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। মানবাধিকার পরিস্থিতি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনেরও আহ্বান জানানো হয়।
বিতর্কে অংশ নিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজনীতিক জোসেফ ভাইদেনহোলজার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনই শেষ সুযোগ, যেখানে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ও আইনের শাসন অব্যাহত থাকবে, নাকি পরিস্থিতি অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হবে। যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যায়, এর প্রভাব ইউরোপেও পড়বে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকসমাজ, রাজনৈতিক কর্মী ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বেড়েই চলেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণগ্রেফতার ও গুমের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। ভাইদেনহোলজার বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সহায়ক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান। যেখানে মানুষ ভয়হীনভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রস্তুতি নিতে পারে।
খসড়া প্রস্তাবে গৃহীত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলেছে, বিশেষ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে থাকা, শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান এবং মীর আহমেদ বিন কাসেম নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তা ছাড়া খসড়া প্রস্তাবে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বাতিল, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রম আইন সংস্কার ও রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
আমরা মনে করি, ইউরোপের পার্লামেন্টে উল্লিখিত সর্বসাম্প্রতিক বিতর্ক শেষে গৃহীত খসড়া প্রস্তাবের ভাষার সারমর্ম আমাদের সরকার উপলব্ধি করবে। বরাবরের মতো পত্রপাঠমাত্র প্রত্যাখ্যানের মনোভাব এবার অন্তত সরকার পরিত্যাগ করবে। বিশেষ করে অনুধাবন করতে হবে ইউরোপের পার্লামেন্টের সেই বক্তব্যটি : এবারের নির্বাচনই বাংলাদেশের জন্য শেষ সময়, দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন চলবে কি না।


আরো সংবাদ



premium cement
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন উসাইন বোল্ট ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী! 

সকল