২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দেশ এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য

প্রয়োজন অঙ্গীকার ও সামাজিক আন্দোলন

-

প্রতিদিন দেশের কোথাও-না-কোথাও মাদক বহনকারী, সেবনকারী কিংবা ব্যবসায়ী ধরার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। দেশটা যেন মাদকের স্বর্গরাজ্য হয়ে গেছে। তা ছাড়া কোনো নির্দিষ্ট স্পট নয়, পুরো দেশই মনে হয় মাদকের বাজার। যেখানে সেখানে মাদক পাওয়া যায়, খুঁজতে হয় না। মাদকসেবীরা কোথাও দাঁড়ালেই হাজির হয়ে যায় কাক্সিক্ষত মাদক। শহর, বন্দর, হাটবাজার, অলিগলি এমনকি গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতেও ঢুকে পড়েছে মাদক। একটু ইশারা দিলেই ক্রেতা-বিক্রেতা বুঝে যাচ্ছেন তার মাদকের প্রয়োজন। মাদকাসক্ত একজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর মতে, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের হোস্টেলেই যদি মাদক পাওয়া যায় তাহলে দেশের সবখানেই পাওয়া যাবে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে অসংখ্য মাদক স্পট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বহু মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে। তাই বলে মাদক বিক্রি ও সেবন থেমে নেই।
আগে রাজধানী ঢাকা ও জেলা-উপজেলা শহরগুলোতে মাদক বিক্রির নির্দিষ্ট একটি স্থান থাকত, যার বেশির ভাগই বস্তি ও রেললাইন-কেন্দ্রিক। এসব স্থানে গেলেই পাওয়া যেত কাক্সিক্ষত মাদক; কিন্তু বর্তমানে মাদক সেই নির্দিষ্ট হাটবাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রাণঘাতী ইয়াবা বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় পুরো দেশই যেন মাদকের হাটে পরিণত হয়েছে। তবে আগের পরিচিত মাদকের হাট বা স্পটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে তা-ও কিন্তু নয়; সেগুলোও পুরোদমে চলছে। মাদক এখন আর কোনো নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। অজপাড়াগাঁয়েও মাদক পাওয়া যাচ্ছে।
আমাদের প্রতিবেদক সরেজমিন দেখতে পেয়েছেন, বিক্রেতা ছোট্ট করে বলতে থাকেন ‘মামা কী লাগবে? সলিড জিনিস দেবো। তাতেই চাহিদামতো গাঁজা, কয়েক ধরনের ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিনসহ সব ধরনের নেশাদ্রব্য পাওয়া যায়। সন্ধ্যা নামার পর থেকে নগরীর রেললাইনের দুই পাশের বস্তিতে মাদকের পাইকারি বাজার বসে। আর দিনের বেলা খুচরা বিক্রি করা হয়।
এখন শুধু বিশেষ এলাকা নয়, শুধু কাওরান বাজারই নয়, ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের আশপাশেও ইলেকট্র্রনিক পণ্যসামগ্রীর মতো প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক। সহজেই পাওয়া যাচ্ছে হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, প্যাথেডিনসহ নানা মাদকদ্রব্য। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বেশির ভাগই কিশোর ও যুবক। পিছিয়ে নেই নারীরাও। মাদক যেন এখন মহামারী হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে এটা সামাল দেয়া কঠিন। এ জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সেই সাথে আইনের কঠোর প্রয়োগও জরুরি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল