২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
বিরোধী দলকে আর হয়রানি নয়

গ্লানিমুক্তির সুযোগ নিন

-

অনেক বিতর্ক ও অভিযোগ নিয়েও সরকার ক্ষমতাচর্চার পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেছে। নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সবাই আশা করছে, সব নাটকীয়তার পরও শেষ পর্যন্ত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রেক্ষিত সৃষ্টি হবে। দেশবাসী চায় একটি প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এমন প্রত্যাশা দেশের বাইরের সুহৃদরাও আশা করে।
কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতিকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনমুখী করার ক্ষেত্রে সরকারের অনীহা ভাব লক্ষণীয়। তারা এখনো বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য পুরো প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। দেশের সর্বত্র বিরোধীদলীয় কর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। নেতাদের হয়রানির যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। হামলা-মামলা তো রয়েছেই। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে এমন এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখা হচ্ছেÑ যাতে বিরোধী দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো অবকাশই না পায়।
এক দিকে তফসিল ঘোষণার কথা বলা হচ্ছে, অন্য দিকে মাঠ সমতল তথা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কোনো অবকাশই দেয়া হচ্ছে না। নেতাকর্মীরা নিজস্ব বাড়ি-ঘরে থেকে স্বস্তিতে বসবাসের সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না। কোনো কোনো এলাকায় কোনো একটি বিশেষ অভিযানের নাম দিয়ে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। এক দিকে বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূন্য করার অদৃশ্য কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে, অন্য দিকে কর্মীদের ভীতির মধ্যে রেখে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের প্রেক্ষিত সৃষ্টি হতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগই অবশিষ্ট রাখা হচ্ছে না। এমনও দেখা যাবে, নির্বাচনের মাঠে কর্মীদের আশার সুযোগটুকুও রাখা হবে না।
সংলাপের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য না করেও বলা যায় সরকার এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক, যাতে ভোট হবে কিন্তু ভোটার উপস্থিতির সুযোগ রাখা হবে না, সে ক্ষেত্রে ভুতুড়ে মামলার মতো ভুতুড়ে ভোট ফলাফল নির্ণয়ের একটা ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করারই যেন ব্যবস্থা হচ্ছে। বাস্তবে তাই ঘটলে শেষ পর্যন্ত জনমত ফুঁসে উঠলে সরকারের কোনো উদ্দেশ্যই সফল হবে না।
সংলাপ ও আলোচনার ন্যূনতম ফল নিয়েও যদি বিরোধী দল নির্বাচনে যেতে চায় তাহলেও নির্বাচন করার পরিবেশ নিশ্চিত হবেÑ এমনটি আশা করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে জনগণের প্রত্যাশার কিয়দংশও পূরণ হবে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া সরকার আম্পায়ার হলে একই সাথে রেফারির ভূমিকা পালন করলে প্রশাসন শুধু আজ্ঞাবহ থাকবে না; শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত নির্বাচন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে বাধ্য।
আমরা মনে করি, জোট ও ফ্রন্টগুলো এবার রাজনীতির মাঠে একতরফা খেলার সুযোগ দেবে না। তাই যত দ্রুত সরকার সংযমী আচরণ করবে ততই মঙ্গল। তাতে জনগণের সিম্প্যাথি যেমন পাওয়া যাবে তেমনি ইতিবাচক রাজনীতির কিছু সুফলও নিজেদের ঘরে তোলার সুযোগ পাবে। তাই বিরোধী দলকে আর হয়রানি নয় বরং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটযুদ্ধে অংশ নেয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখুন, তাতে সরকারি দলেরই সুনাম বৃদ্ধি পাবে। তাতে অনেক গ্লানিমুক্তির সুযোগও মিলবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত

সকল