১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আচরণবিধিতেই গলদ ইসির

জনগণের আস্থাহীনতা বাড়াবে

-

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি সরকারের বাইরে সব মহলের, এমনকি দেশের বাইরের বিভিন্ন মহলেরও। এ জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, তোলা হয়েছে নানা দাবি-দাওয়া। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন সেসব পরামর্শ ও দাবি-দাওয়া একদম মানতে নারাজ। এমনকি বিরোধী দল-মহলের সাথে এক টেবিলে বসে একটি সমঝোতা সৃষ্টিতেও নারাজ। দাবি তোলা হয়েছিল নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধন করে সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে বিধিবিধান সংশোধন ও তৈরির। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতেও কান না দিয়ে সরকারের ইচ্ছা পূরণের পক্ষেই হেঁটে চলেছে এবং সরকারের চাওয়া-পাওয়া অনুযায়ী একটি আচরণবিধি পাস করতে যাচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে নিশ্চিত হচ্ছে না সবার জন্য সমান অধিকার। বিধিমালায় তফসিলের পর সরকারি প্রটোকল তুলে নেয়াসহ এমপিদের অন্যান্য সুযাগ-সুবিধা কমিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব করেনি কমিটি। নির্বাচনের সময় এমপিদের প্রভাব বিস্তার রোধ না হয়ে বরং বাড়তি সুবিধা দিতে তৎপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন গলদ রেখে গতকাল নির্বাচন কমিশনের ৩৭তম সভায় খসড়া আচরণবিধি অনুমোদন দেয়ার কথা।
বিদ্যমান নির্বাচনী আচরণবিধিতে উল্লেখ আছেÑ তফসিলের পর কোনো সংসদ সদস্য সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। এলাকার কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিতে পারবেন না। এ ছাড়া আরো বিধিনিষেধ আছে। তবে অতীতের নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি রাজনৈতিক নেতা ও এমপিদের প্রভাবের কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ভোটের সময় জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনার প্রস্তাব করেছিলেন মাহবুব তালুকদার। কিন্তু গত কমিশন সভায় এ প্রস্তাব অ্যাজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি। বাকস্বাধীনতা হরণের অভিযোগে মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কারণে আজকের সভায় মাহবুব তালুকদার এ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে ইসি সূত্রে জানানো হচ্ছে। এ ছাড়া মাহবুব তালুকদার আরো বেশ কিছু প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন, যা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করায় সহায়ক হতো। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে আচরণবিধিতে গলদ রেখেই ইসি তা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে।
আমরা মনে করি, সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে তৈরি করতে যাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধি দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল জোটকে ক্ষুব্ধ করবে। এমনিতে নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় বিদ্যমান, তা এ সংশয়কে আরো বাড়িয়ে তুলবে। নির্বাচন কমিশনকে সে বিষয়টি আমলে নিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন আচরণবিধি প্রণয়নে উদ্যোগী হতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দিরাইয়ে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ট্রাকভর্তি কলা ছিনতাই : গ্রেফতার ৪ ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল স্নান করতে গিয়ে দূর্গাসাগর দীঘিতে ডুবে একজনের মৃত্যু ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে : শ্রিংলা মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২

সকল