১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ক্ষমতাসীনদের প্রেসক্রিপশন ও বিরোধ

আস্থা হারিয়ে ফেলছে নির্বাচন কমিশন

-

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আপত্তি তোলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সাথে মতবিনিময় করে যেসব সুপারিশ তৈরি করেছিল, সেগুলোও বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। মূলত ক্ষমতাসীন দলের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হচ্ছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে, নির্বাচন কমিশনারদের ভেতর থেকেও ভিন্নমত দেয়ার কোনো সুযোগ রাখা হচ্ছে না। ফলে নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিরোধ তৈরি হচ্ছে।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে কিছু প্রস্তাব নিয়ে সভায় গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার; কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অপর তিন নির্বাচন কমিশনারের আপত্তির কারণে প্রস্তাবগুলো সভায় তুলতেই পারেননি। এর প্রতিবাদে বাকস্বাধীনতা খর্ব করার প্রতিবাদে ইসির সভা বর্জন করেন তিনি। এর আগে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার মতামত শোনেননি অপর নির্বাচন কমিশনাররা। ফলে তিনি একাধিকবার সভা বর্জন করেছেন। কার্যত সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকারের আকাক্সা বাস্তবায়ন করে চলছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার অংশীজনের সাথে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, তার ভিত্তিতে পাঁচটি প্রস্তাব তৈরি করেছিলেন। এগুলো ছিলÑ জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে, তা আগে থেকে নির্ধারণ করা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সংলাপ থেকে আসা সুপারিশগুলো নিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের সাথে আলোচনা করা। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রতিটি প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে বিশদ ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
দুর্ভাগ্যজনক দিক হচ্ছে, সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না। নির্বাচন কমিশনাররা বিভিন্ন সময় বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন। মতামত না শোনার মতো অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছেন। ফলে নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি করপোরেশনসহ যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিভিন্ন বিষয়ে সবার মতামত উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে, এমন আশা করা যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
মানবতার কল্যাণে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে হবে : জামায়াত আমির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু সমর্থকদের মাতামাতি করতে মানা করলেন শান্ত বান্দরবানের কেউক্রাডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান : আটক ৮, অস্ত্র উদ্ধার স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত

সকল