২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রশ্নে সম্পাদক পরিষদ

তিন মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অপূর্ণতায় হতাশ তারা

-

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এ ব্যাপারে তারা হতাশা ব্যক্ত করেছে। কারণ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তিন মন্ত্রী সম্পাদক পরিষদকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তারা পূরণ করেননি। বরং বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন না করে সংসদে আইনটি পাস করিয়ে নিয়েছে সরকার। এমনকি রাষ্ট্রপতিকে এই বিলে স্বাক্ষর না করার অনুরোধ জানালেও তিনি তাদের সে অনুরোধ রক্ষা করেননি। এ বিষয়ে শিগগিরই শুরু হতে যাওয়া সংসদের শেষ অধিবেশনে আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। তা ছাড়া আজ শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অবস্থান জানাবে।
গত পরশু বৃহস্পতিবার সম্পাদক পরিষদ এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। এর আগে ওই দিন ডেইলি স্টার সেন্টারে সম্পাদক পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সম্পাদক পরিষদ সাইবার-জগৎ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সমর্থন করে। তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির সই করা ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে ৮, ২১, ২৫, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫০-এর মতো বিতর্কিত ধারাগুলো মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ। তা ছাড়া তারা মনে করে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নৈতিক ও স্বাধীন সাংবাদিকতার মৌল মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই তারা এই আইনের সংশোধন দাবি করছে। উল্লেøখ্য, কয়েক দিন আগে সম্পাদক পরিষদ সংবাদমাধ্যমগুলোয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে তাদের আপত্তির বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে; কিন্তু সরকার তাতে মোটেও কান দেয়নি। বরং আইনটি পাসের পর সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতানেত্রীরা জোর প্রচারণা চালিয়েছেনÑ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই, যারা অপরাধ করে তারাই শুধু এ ব্যাপারে আপত্তি জানাতে পারে।
এ দিকে এরই মধ্যে নতুন পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অ্যাকশন শুরু হয়েছে। এই আইনের আওতায় প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ঢাকার পল্টন থানায়। প্রশ্ন পাসের অভিযোগে আটক পাঁচজনকে আসামি করে এই মামলা করেছে সিআইডি। অভিযোগ প্রমাণ হলে এই আইনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। গত পরশু মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডি এসব তথ্য জানায়। তারা জানায়, গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সদস্য। গ্রেফতারের পর তাদের দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আমরা মনে করি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের দাবি শতভাগ যৌক্তিক। এই আইন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা বিশেষ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অবসান ঘটাবে। সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। অতএব শিগগিরই শুরু হতে যাওয়া বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে সম্পাদক পরিষদের তোলা আপত্তিকর ধারাগুলো সংশোধন করে আইনটি যৌক্তিক করা হোক। না হলে তা সার্বিকভাবে সমাজে এর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। সেই সাথে মন্ত্রীদের দেয়া প্রতিশ্রুতিরও বাস্তব প্রতিফলন ঘটানো হোক।


আরো সংবাদ



premium cement
ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের

সকল