২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়

উভয় পক্ষকে ধৈর্যশীল হতে হবে

-

বহুল আলোচিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আদালত এই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রাজনীতিতে অবশ্যই ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে শত বিরোধ থাকবে। তাই বলে নেতৃত্বশূন্য করার প্রয়াস চালানো হবে, এটা কাম্য নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যে দলই থাকবে, বিরোধী দলের প্রতি তাদের উদার নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা অর্জন করা মোটেও গণতান্ত্রিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ নয়। সাধারণ জনগণ এ রাজনীতি চায় না।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। সে সমাবেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই এই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল হামলাকারীরা। ভাগ্যক্রমে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এ হামলা থেকে রক্ষা পান, কিন্তু এ হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। নিশ্চিতভাবে এ ধরনের হামলা ঘৃণ্য ও নিন্দনীয়।
রায় ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেÑ এ রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি আওয়ামী লীগ। মামলার অন্যতম আসামি তারেক রহমানের ফাঁসি না হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দলটি। রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করতে বলবে তারা। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
অপর দিকে, এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি বলেছে, এই রায় ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নোংরা বহিঃপ্রকাশ। এর প্রতিবাদে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ, কালো পতাকা মিছিলসহ সাত দিনের কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপি মনে করে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রায়। এটি সরকারের ফরমায়েশি রায়। আসামিপক্ষও এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
এই হামলার বিচারের প্রাথমিক রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়েছে এবং সরকারপক্ষ রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। যেকোনো রায়েই সংুব্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। উভয় পক্ষ ধৈর্যসহকারে সে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে, এটাই কাম্য। নিয়মতান্ত্রিক আইনি প্রক্রিয়া ও বিষয়ের নিষ্পত্তি হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাক্সিত ঘটনা বন্ধ করতে সহায়তা করবে। আমরা আশা করব, উভয় পক্ষ ধৈর্যসহকারে এ মামলার চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত পুরো বিষয়টি মোকাবেলা করবে। মনে রাখতে হবে, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। বিষয়টি ধৈর্যসহকারে মোকাবেলা না করতে পারলে অনাকাক্সিত রাজনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তেমনটি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে উভয় পক্ষকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

সকল