২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বাংলাদেশীদের শূন্য হাতে ফেরা

সৌদি আরবের কাছে প্রত্যাশা অনেক

-

সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ। একই সাথে কল্যাণরাষ্ট্রও। মক্কা-মদিনার কারণে এর একটি আলাদা মর্যাদা ও গুরুত্ব রয়েছে। মুসলিম উম্মাহ সৌদি আরব সম্পর্কে সব সময় ইতিবাচক ধারণা লালন করে। এক সময় সৌদি আরব পুরো মুসলিম উম্মাহর অভিভাবকত্ব করেছে। তবে হালে তারা বিভিন্ন কারণে মুসলিম উম্মাহর কাছে আগের মতো নিঃশর্ত সমর্থন পায় না। এর প্রধান কারণ, সৌদি আরবের বিদেশনীতিকে অনেক মুসলিম দেশ এখন আগের মতো বিতর্কের ঊর্ধ্বে ভাবে না। তার পরও সৌদি আরবের প্রতি সমীহ দেখানোর ক্ষেত্রে উম্মাহর কোনো সদস্য কার্পণ্য করে না।
এক সময় বাংলাদেশের শুধু সুহৃদ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে নয়, সৌদি আরব অর্থনৈতিক কারণেও বাংলাদেশীদের কাছে বাড়তি শ্রদ্ধা ও সম্মান কুড়িয়েছে। এখনো সেই অবস্থান বাংলাদেশীরা পরিবর্তন করেনি। তবে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশীরা মেনে নিতে কষ্টবোধ করে। যেমনÑ বাংলাদেশের নারী শ্রমিকরা সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন। অথচ বাংলাদেশীরা মনে করেন সৌদি আরবের বাসিন্দারা শুধু ঈমানের দৃষ্টিতে মানোত্তীর্ণ নয়Ñ মানবিক ও নৈতিক মানেও অনেক বেশি শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। বাস্তবে নারী শ্রমিকরা বিপরীত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে অনেকেই দেশে ফেরত এসেছেন। সেই অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
সম্প্রতি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ অনেক বাংলাদেশীকে খালি হাতে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। মাত্র ১০ দিনে ৫০০ লোক দেশে ফেরত এসেছে শূন্য হাতে। এমন এক সময় ছিল বাংলাদেশী হলে অনেক বেশি মমত্ববোধ পেত, কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকলেও মানবিক আচরণ পেত। এখন মনে হয়, বাংলাদেশীদের প্রতি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের অবস্থান আগের মতো নেই। একটি হতদরিদ্র মুসলিম দেশের প্রতি এক সময় সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ উদারহস্তে দান করেছে। বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে, হাজার হাজার শ্রমজীবীর চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে। সে অবস্থার যেন পরিবর্তন ঘটেছে।
বাস্তবে বাংলাদেশীরা পূর্বাপর সৌদি আরবের প্রতি সমীহ বজায় রাখতে চায়, ধর্মীয় আবেগ, অনুভূতি দিয়ে সৌদি আরবকে ভালোবাসতে চায়। রাজনৈতিক ও বিশ্বপরিস্থিতির কারণে সরকার হয়তো কখনো কখনো বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে সৌদি আরবের সব সিদ্ধান্তের সাথে একসুরে কথা বলতে পারেনি। তাই বলে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ ভ্রাতৃপ্রতিম সৌদি আরবের প্রতি কোনোভাবেই বৈরী আচরণের কথা ভাবতেও পারে না। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ছাত্র সৌদি আরবে লেখাপড়া করে এসে দেশে ইসলাম চর্চায় অবদান রাখছেন। আবার সৌদি আরবের সাহায্য সহযোগিতায় যেসব প্রকল্প গড়ে উঠেছে, সেগুলো এখনো সদকায়ে জারিয়ার মতো অবদান রেখে চলেছে।
তাই সৌদি আরবের প্রতি বাংলাদেশীদের শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধের কারণেই আশা করি আর কোনো বাংলাদেশী শূন্য হাতে দেশে ফিরবে না। যতটুকু সম্ভব তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা হবে। প্রয়োজনে ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তাদের শ্রমজীবী হিসেবে ঠাঁই দেয়ার ব্যবস্থা করবে। এতটুকু মানবিক আচরণ সৌদি সরকারের কাছে বাংলাদেশীরা প্রত্যাশা করতেই পারে। আশা করি, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ আরো উদারনৈতিক দৃষ্টিতে বাংলাদেশীদের দেখবে এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা দেবে। অন্তত শূন্য হাতে বাংলাদেশে পাঠানোর মতো কঠোর অবস্থান পরিবর্তন করবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না

সকল