২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডেঙ্গুর প্রকোপ

আরো কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন

-

গেলবার ছিল চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ, যদিও ডেঙ্গুর কারণে অনেক মানুষ ভুগছিল। এবার ডেঙ্গু মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেভাবে পড়ার কথা এখনো সেভাবে পড়েনি। বর্তমানে ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা বেশ অপ্রতিরোধ্য। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ রাজধানীতে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারেও আসছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৮ জন রোগী আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিলেছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭.৪৪ জন। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জ¦রে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৯২৪ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন।
এ তথ্য শুধু সেসব হাসপাতালের, যেখান থেকে দৈনিক স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য দেয়া হয়। এর বাইরে চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রচুর রোগী আসেন, যারা হাসপাতালে ভর্তি হন না। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ইদানীং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী তারা বেশি পাচ্ছেন। মে থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেলে হঠাৎ করেই আক্রান্তের হার বাড়ে। এডিস মশা বৃষ্টির বিরতির সময়ই সবচেয়ে বেশি বেড়ে থাকে।
চিকিৎসকেরা মনে করছেন, বলতে গেলে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি ঘরেই এডিস মশার বাস। নিজের অজান্তেই এডিস মশার বাসোপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে অনেক বাসাবাড়িতে। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিজাত এলাকার ঘরেই এডিস মশা জন্ম নিচ্ছে। পানি আটকে থাকে, ঘরের এমন স্থানে মশা বেড়ে ওঠার আবাসস্থলটি তিন-চার দিন পরপর পরিষ্কার করতে না পারলে এ মশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না বলে জানান তারা।
স্মরণযোগ্য, ২০০২ সালে দেশের মানুষ সর্বোচ্চসংখ্যক অর্থাৎ ছয় হাজার ২০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। ডেঙ্গু জ্বরে বেশি মৃত্যু হয় ২০০০ সালে। তবে ২০১৬ সালে ছয় হাজার ৬০ জন আক্রান্ত হলেও চিকিৎসার সহজলভ্যতা, মানুষের মধ্যে সচেতনতার কারণে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪। ডেঙ্গুকে সাধারণভাবে দেখা যাবে না, তাই এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দুই সিটি করপোরেশনের আরো তৎপর হওয়া প্রয়োজন। নাগরিক জীবন নিরাপদ করতে প্রচারমাধ্যমে বিজ্ঞাপন যথেষ্ট নয়। এ ব্যাপারে এডিস মসা নিধনে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আরো বেশি তৎপর হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল