২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরেনি

অনিয়ম চলছে আগের মতোই

-

‘সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক চাই’ ও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান নিয়ে চলা স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গোটা জাতিকে দেখিয়ে দিয়েছে পরিবহন খাতে চলা নানা অনিয়মের খেলা আর এই অনিয়মের ফলে প্রতিদিন সড়কে ঝরছে অনেক মূল্যবান প্রাণ। দেশের মানুষ গণমাধ্যম সূত্রে এ কথা প্রতিদিনই জানতে পারছে। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের জের হিসেবে দেশের মানুষের স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল এবার সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। অবসান ঘটবে সব ধরনের অনিয়ম। সড়ক হবে নিরাপদ। কিন্তু কার্যত তা হয়নি। লোকদেখানো নানা পদক্ষেপ হয়তো সড়কে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও সড়কে প্রাণ হারানো অব্যাহত চলছেই।
ঢাকা সড়কে অনিয়ম তাড়াতে গত মঙ্গলবারই নানা সিদ্ধান্তের কথা আর আশার বাণী শুনিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কিন্তু পরদিন বুধবার রাস্তায় নেমে অনেকের আশাভঙ্গ হয়েছে। অনেকেই শহরে খোলা দরজার বাস, বড় রাস্তায় লেগুনা, বন্ধ থাকা ট্রাফিক বাতির ছবি, যেখানে-সেখানে চলন্ত অবস্থায় যাত্রী তোলার ছবি ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।
পুলিশের সাথে গতকাল রাস্তায় ছিলেন রোভার স্কাউট সদস্যরা। বিভিন্ন মোড়ে যানবাহন থামিয়ে কাগজ পরীক্ষা করতে দেখা গেছে তাদের। তবে কাওরান বাজারে বিজয় সরণিতে তাদের সঙ্কেত এড়িয়ে যানবাহন চলে যেতে দেখা গেছে।
পরিবহন মালিক সমিতির চুক্তিতে বাস চলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মানছেন না বাস মালিকেরা। প্রায় এক মাস আগে মালিক সমিতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চুক্তিতে কোনো বাস চালানো হবে না। নির্ধারিত বেতন না থাকায় চালক ও সহকারীরা বেশি যাত্রী পরিবহন ও বেশি ট্রিপ দেয়ায় তৎপর থাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তেমন অগ্রগতি নেই। গত ১৬ আগস্ট জারি করা এসব নির্দেশনা সম্পর্কে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর মধ্যে সাতটি নির্দেশনা ছিল দ্রুত কার্যকর করার মতো। চারটি নির্দেশনা চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। চারটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। এ ছাড়া দু’টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
একটি পত্রিকা জানিয়েছে, গত মঙ্গল ও বুধবার রাজধানীর আটটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দ্রুত কার্যকর করা যেত এমন সাতটি নির্দেশনার কোনোটিই মানা হচ্ছে না। ওই নির্দেশনার অন্যতম যেখানে-সেখানে বাসে যাত্রী নামানো-উঠানো থামেনি। গণপরিবহনে চালক ও সহকারীর নাম ছবিসহ, চালকের লাইসেন্স নম্বর ও মোবাইল ফোন নম্বর প্রদর্শন করতে হবে।
আমরা মনে করি, এসব নির্দেশনা ও ট্রাফিক আইন মেনে চলাই একমাত্র পারে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে। সরকার বলছে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কিন্তু সড়কে যদি অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা থেকেই যায়, তবে তা ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতাকে অস্বীকার করারই শামিল হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল