২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঈদ সামনে রেখে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

বাজার নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দিন

-

ঈদুল আজহা সামনে রেখে আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দুই বছর ধরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। চালের বাজার যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী ছিল তা আর কমেনি। এর মধ্যে ঈদ সামনে রেখে পেঁয়াজ, রসুন ও মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।
কোরবানি ঈদের আগে দেশের বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকেরা। কিন্তু আমদানি বাড়লেও দাম কমছে না। বাড়তি আমদানি সত্ত্বেও স্থানীয় পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পণ্যটির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ছয় টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের সাম্প্রতিক দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে ভারতের বাজারে তুলনামূলক বেশি দাম ও ঈদের আগে দেশের বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকেরা। আসন্ন কোরবানি ঈদ সামনে রেখেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
চাল, ডাল ও পেঁয়াজের মতো পণ্যের বাড়তি দামে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সরকার ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে চিনি, ভোজ্যতেল, মসুরডাল ও ছোলা বিক্রি শুরু করছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে। টিসিবির বাজার দরে দেখা যাচ্ছে, খোলাবাজারে প্রতি কেজি দেশীয় চিনি ৫২ টাকা, মসুরডাল (মাঝারি মানের) ৫০ টাকা, ছোলা (অস্ট্রেলিয়ান) ৪০ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকায় বিক্রি হবে।
টিসিবির বিক্রির তালিকায় চাল বা পেঁয়াজের মতো পণ্য নেই। টিসিবির এই পণ্য বিক্রি বাজারের ওপর খুব বড় ধরনের প্রভাব ফেলে না। সরকারের উচিত নিম্নমধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের কম দামে খাবার পাওয়ার দিকে মনোযোগী হওয়া। এ জন্য প্রথমে কম দামে যাতে মানুষ চাল কিনতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার। কিন্তু এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। কিছু দিন আগে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। ঈদুল আজহার সময় পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে তা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। আমরা মনে করি, সরকারের উচিত চাল, ডাল ও পেঁয়াজের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে মনোযোগী হওয়া।


আরো সংবাদ



premium cement