২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কায়েমি স্বার্থের হাতে জিম্মি যাতায়াতব্যবস্থা

জনস্বার্থে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত

-

ক্ষমতার রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা একটি সঙ্ঘবদ্ধ শক্তির হাতে দেশের পরিবহন খাত জিম্মি হয়ে পড়ছে। যখনই এ খাতে স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করা হয় কিংবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়, তখন এই শক্তি যাতায়াতব্যবস্থা অচল করে দিয়ে দেশের মানুষকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে। অদক্ষ চালকদের হাতে গণপরিবহনের দায়িত্ব তুলে দেয়ার ফলে কয়েক বছর ধরে সড়ক দুর্ঘটনার নামে মানুষ হত্যার এক ধরনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার, এমনকি যৌন নিপীড়নের মতো ভয়াবহ সব ঘটনা বারবার ঘটলেও পরিবহনের চালক ও শ্রমিক এবং মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না বা যায় না। দুর্ঘটনায় মৃত্যু রোধে আইন প্রণয়ন কিংবা লাইসেন্স প্রদানে কঠোর নীতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে পরিবহন শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয় কিংবা যাতায়াতব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয় নৈরাজ্যের মাধ্যমে।
রাজধানীতে এবার বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। ওরা রাজধানীর ট্রাফিকব্যবস্থা কিভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা শিখিয়ে দিয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া যানবাহন নিয়ে মন্ত্রী, এমপি, সাংবাদিক ও বিচারপতিরা পর্যন্ত চলাফেরা করছেনÑ এই শিক্ষার্থীরা তা তুলে ধরেছে। এ দেশের পরিবহনব্যবস্থা যে পুরোপুরি অনিয়মের মধ্যে ডুবে আছে, তার বহু প্রমাণ দেখা গেছে। ছাত্রছাত্রীদের এই নজিরবিহীন আন্দোলন শুরু হওয়ার পর পরিবহন মালিকেরা দেশজুড়ে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। একই সাথে পরিবহন শ্রমিকেরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কিছু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা একাত্মতা প্রকাশ করে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করতে পারতেন। সরকারের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো সাথে সাথে মেনে নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, একজন মন্ত্রী যিনি নিজে পরিবহন শ্রমিক নেতা হয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষাবলম্বন করছেন। এর আগে বাসচাপায় শিক্ষার্থী হত্যার পরও তিনি এর ‘যৌক্তিকতা’ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন, যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমরা মনে করি, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য রোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠলে যেভাবে যাতায়াতব্যবস্থা অচল করে দেয়া হয়, তার অবসান হতে হবে। পরিবহন খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায় ইরান নিয়ে মার্কিন হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭

সকল