২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিরোধী দলের সাথে আলোচনা

অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু করুন

-

বছর শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিন মাস পরই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সে কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। লক্ষাধিক মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা। আদালতের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি ফয়সালা হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন না করার দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিরোধী দলহীন সংসদের মাধ্যমে বর্তমান সরকার মেয়াদ অতিক্রম করতে যাচ্ছে। সংসদে যে বিরোধী দল আছে, সেটি সরকারের অংশীদার। বিরোধী দলের চেয়ারম্যান মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। এমন বিস্ময়কর গণতান্ত্রিক সরকার বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এমন অবস্থার মধ্যে আগামী নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি বলেছেন, বিরোধী দলের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হতে পারে। টেলিফোনে বিএনপি নেতাদের সাথে কথা হতে পারে। অপর দিকে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ফোন পেলে তারা ফিরতি কলও দেবেন। একধরনের আলোচনার ব্যাপারে দুই দলের আগ্রহ আছে বলে আমরা ধরে নিতে পারি। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, কোনো সংলাপ হবে না। আনুষ্ঠানিক সংলাপ না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু হোক। এর মধ্য দিয়ে হয়তো সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ক্ষমতাসীন দল যতই বলুক নির্বাচনে কে এলো-না-এলো দেখার বিষয় নয়, সময়মতো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ নয়। বিরোধী দলহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসে বৈধতার সঙ্কট নিয়ে সরকারকে মেয়াদ অতিক্রম করতে হয়েছে। নানাভাবে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবেলা করতে হয়েছে।
অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষমতাসীন দল আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেবে বলে আশা করা যায়। এ জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো যেভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাতে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে অবিশ্বাস আরো বাড়ছে। একই সাথে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। একই প্রক্রিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কৌশল গ্রহণ করা হলে ক্ষমতাসীন দলের জন্য হবে মারাত্মক ভুল। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচন নিয়ে এখনই আনুষ্ঠানিক হোক বা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। না হলে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কোনো দল এমন বিপর্যয় চাইতে পারে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল