২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের দুঃসহ অবস্থা

দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নিন

-

বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে। এখন এই শ্রমবাজার হুমকির মুখে পড়েছে। বৈধভাবে যাওয়া বাংলাদেশীদের পাশাপাশি পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ না থাকায় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিক বর্তমানে দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়েছেন, যাদের অনেকেই বৈধতা পেতে দূতাবাসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেও সময়মতো তা হাতে পাননি। মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করেছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় গ্রেফতার হয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে রয়েছেন প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক।
অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিদেশী শ্রমিকদের বৈধ করতে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রি-হায়ারিং প্রকল্প শুরু করে দেশটির সরকার। শ্রমিকেরা যাতে এ সুযোগ নিয়ে বৈধ হতে পারেন, সেজন্য কয়েক দফা বাড়ানোও হয় প্রকল্পটির মেয়াদ। সর্বশেষ মেয়াদ বাড়ানোর পর গত ৩০ জুন শেষ হয় এ প্রকল্প। রি-হায়ারিং পদ্ধতিতে বৈধকরণ প্রক্রিয়ার অন্যতম ধাপ হলো নিজ দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়া। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ধাপ শেষে পাওয়া যায় বৈধতা। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের অভিযোগ, রি-হায়ারিং প্রকল্পের সুযোগ নিতে দূতাবাসে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও তা হাতে পাননি অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক। আবার পাসপোর্ট থাকলেও দালালচক্রের প্রতারণায় রি-হায়ারিংয়ের সুযোগ নিতে পারেননি অনেক বাংলাদেশী।
এ অবস্থায় যেকোনো সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন তারা। যারা রি-হায়ারিং প্রক্রিয়া বা ই-কার্ডের জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো পছন্দ অনুযায়ী নিয়োগ দেবে। যাদের নিয়োগ হবে না, তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে আসতে হবে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে এসব শ্রমিককে দেশে ফিরে আসতে হবে। ইতোমধ্যে গত ১ জুলাই থেকে অবৈধদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। গত ১০ দিনে প্রায় তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশী নাগরিক গ্রেফতার হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
মালয়েশিয়ায় ১০ লাখের মতো বাংলাদেশী কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। বাকিরা নিয়মিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। তবে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বৈধ হওয়ার জন্য কোম্পানি কিংবা দালালের কাছে টাকা ও পাসপোর্ট জমা দিলেও প্রতারিত হয়ে বৈধতার সুযোগ পাননি। এমন পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিক সেখানে বিপদে রয়েছেন। আরো কয়েক হাজার শ্রমিককে হয়তো কারাগারে যেতে হবে।
আমরা মনে করি, কিভাবে এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়া যায়, সে ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে দ্রুত আলোচনা করা দরকার। বিশেষ করে সরকারকে রি-হায়ারিংয়ের সময় আরো বাড়ানো যায় কি না, সেজন্য কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। একইভাবে নতুন পাসপোর্ট দেয়ার গতি বাড়াতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য বেনাপোল সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক ৪ বিভাগে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি!

সকল