২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ

দরকার ক্ষমতাসীনদের সদিচ্ছা

-

নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণ বলা যেতে পারে। যদিও এর বেশ কিছু শর্ত রয়েছে, যেগুলো ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা প্রহসনে পরিণত হয়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের মহাসঙ্কটকাল চলছে। এখানে নির্বাচন ও এর অনুষঙ্গÑ সবই প্রহসনে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থা এখন সারা বিশ্বে একটা সঙ্কট হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘বেশ অগ্রসর’। বিগত জাতীয় নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি ভোটারবিহীন নির্বাচন পুরো নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের সহযোগী বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান এর অশুভ পরিণতি থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষক দেশ ও সংস্থাগুলো বরাবর বলে যাচ্ছে, আগামী নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যরা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই পার্লামেন্ট এর আগেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছে। তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরকালে একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। গণতন্ত্রের চর্চাকারী ও এর পৃষ্ঠপোষক দেশগুলো বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই শাসনব্যবস্থাকে ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতায় আরোহণের অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসে নেতারা স্বৈরশাসকে পরিণত হচ্ছেন। তারা নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে ফেলছেন, যাতে সঠিক গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে অন্যারা ক্ষমতায় আসতে না পারেন। গণতন্ত্র চর্চাকারী ইউরোপীয়দের উদ্বেগের বিষয় এটি। মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর থেকে আস্থা হারাতে পারে। ওই সেমিনারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিও এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বাংলাদেশীরা অংশ নেন। উপস্থিত সবাই একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর তাগিদ দিয়েছেন। অবশ্য ওই সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের প্রতিনিধি ছিলেন না।
সেমিনারে পার্লামেন্ট সদস্যরা জোর পরামর্শ দেন, যাতে বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ নেয়। সেমিনারে আওয়ামী লীগের সদস্যরা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান। সুশীলসমাজ এবং এনজিওদের পক্ষ থেকে একই ধরনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করা হয়। বাংলাদেশে আর কখনো ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠান না হোক, এ ব্যাপারে সবাই একমত। বিএনপি মনে করে, অংশগ্রহণ করাই বড় কথা নয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটি স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। এখন সবাই যখন বিএনপির অংশ নেয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেখানে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যাপারটি সমধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত। বিরোধী দলকে এ মর্মে আস্থায় আনা উচিত যে, মানুষ এবার ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে। গণতন্ত্রের শুভাকাক্সী পক্ষগুলোকে এ ব্যাপারে জোর তাগিদ দিতে হবে। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্তরিকতা থাকতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি

সকল