মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস
- ০৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
যেকোনো একটি দেশে মধ্যবিত্তরাই মনে হয় সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখে থাকে সব সময়। বিশেষ করে যখন বাজারে অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ে, তখন ওই মধ্যবিত্ত সমাজই সবচেয়ে বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়ে। কারণ, মধ্যবিত্তরা সমাজের এমন একটি অংশ, যারা চাইলেই তাদের আয় হঠাৎ করে বাড়িয়ে তুলতে পারে না। তাদেরকে মোটামুটি একটি স্থির আয় দিয়েই সংসার চালাতে হয়। ফলে হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই বাজারে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন এর আঘাত এসে লাগে মধ্যবিত্ত সমাজের ওপর। আর যখন বাজারে নানা পণ্যের দাম বিনা নোটিশে বেড়ে যায়, তখন সবচেয়ে বেশি কঠিন সময়ের মধ্যে পড়ে এই মধ্যবিত্ত অংশটুকু। সম্প্রতি বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে মধ্যবিত্ত সমাজকে।
সহযোগী একটি দৈনিক পত্রিকা জানিয়েছেÑ রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ ও গোশতসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া নিম্নমধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তের মানুষ তাদের জীবন নির্বাহে কঠিন সময়ে উপনীত হয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, মাছ, গোশত, শাকসবজি, ডাল, তরকারিসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বেড়ে চলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের নাগরিক জীবন। তাদের আয় সীমিত ও নির্ধারিত; অথচ বাজারে পণ্যমূল্য বেড়েই চলেছে। বাজারে এখন ৫০ টাকা কেজি দরের চেয়ে কম দরে কোনো সবজি ও তরিতরকারি মিলছে না। কয়েক দিন আগে যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। গত দু-তিন মাসে ৭০-৮০ টাকার মধ্যে যে ডিম পাওয়া যেত, এখন সে ডিম কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। রমজানে সেই যে মুরগির দাম বাড়ল, তা আর কোনো মতেই কমছে না; বরং তা আরো বাড়ছে। এভাবে সব নিত্যপণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে।
মোটকথা পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়লেও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। এ দিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে। আরেক দফা তাদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণাও শিগগিরই আসতে পারে। এর প্রভাবে বাজারে পণ্যের দাম আরো বাড়বে বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত সমাজের আয় এক টাকা বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। মোটকথা বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এর পরও রোজা ও ঈদ আসার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেশবাসীকে শুনিয়ে চলেছে বরাবরই। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন নেই। আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক নীতি প্রণয়ন ও তা কার্যকর করার জরুরি পদক্ষেপ নেয়া অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার অন্তত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসবে। নইলে সমাজে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা