স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রণ দরকার
- ০৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
দেশে শস্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে কীটনাশকের ব্যবহার। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি জমির উর্বরাশক্তির জন্যও ভালো নয়। এখন একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহারও বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসছে। এর প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনে। একই সাথে বাড়ছে ফসলে রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ। এসব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। দানাদার শস্যের পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগ হচ্ছে শাকসবজিতেও। এতে সার্বিকভাবে বাড়ছে ফসলে বিষের ব্যবহার। বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিপিএ) তথ্য মতে, এক বছরের ব্যবধানে দেশে বিষের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ, পরিমাণে যা সাড়ে পাঁচ হাজার টন। চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর ও জার্মানি থেকেই আমদানি হয় পাঁচ ধরনের বালাইনাশক ও কীটনাশক।
কৃষকেরা জমিতে যে কীটনাশক ব্যবহার করছেন তা কতটা নিয়ন্ত্রিতভাবে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পোকামাকড় মারার জন্য সহজ উপকরণ হিসেবে কীটনাশক ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। দেশের শস্যক্ষেতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির ৬০৭টি পোকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাত্র ২৩২টি বা ৩৮ শতাংশ পোকা ফসলের জন্য ক্ষতিকর। বাকি ৬২ শতাংশ পোকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফসলের উপকার করছে। এর মধ্যে ১৮৩টি বা ৩০ শতাংশ পোকা সরাসরি ফসলের জন্য উপকারী। আর ১৯২টি বা প্রায় ৩২ শতাংশ পোকা ক্ষতিকর পোকা খেয়ে অথবা পরজীবী ও পরভোজী হিসেবে ফসলের উপকার করে। কিন্তু কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার উপকারী এসব পোকাও ধ্বংস হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো মানুষের খাদ্যচক্রে ঢুকে পড়ছে। বিশেষ করে শাকসবজিতে যেভাবে কীটনাশক ব্যবহার হচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। শস্যের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গিয়ে আমরা ধীরে ধীরে শস্যকে অনিরাপদ করে ফেলছি।
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দেশে বিভিন্নভাবে খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন হয়েছে, তাতে শস্য উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একই সাথে কারণে-অকারণে কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে। সব ধরনের কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রয়োজন সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি। কীটনাশক আমদানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন। একই সাথে এর প্রয়োগ যাতে সঠিক মাত্রায় ও সময়মতো হয়, সে জন্য কৃষককে প্রশিক্ষণ সহায়তা দিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের কৃষি বিভাগকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা