খুলনার কলঙ্কতিলক মুছতে হবে ইসিকে
- ২৫ জুন ২০১৮, ০০:০০
এ পর্যন্ত বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত জাতীয় কিংবা স্থানীয় প্রতিটি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্ট কেন্দ্র পৌঁছানো এবং তাদের অবাধে কাজ করতে দেয়ার ব্যাপারে বরাবর সরকারবিরোধী প্রার্থীরা শঙ্কিত থাকতে দেখা গেছে। কারণ, প্রতিটি নির্বাচনেই বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থী উভয়েই এজেন্ট নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। তবে দু’দলের প্রার্থীদের এই শঙ্কার কারণ পুরোপুরি আলাদা। উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের আশঙ্কা, ভোটের দিনে এবং এর আগের দিন তার নির্বাচনী এজেন্টরা সরকারি দলের লোকজনের ও পুলিশের হয়রানির শিকার হতে পারেন। অপর দিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম তাদের এজেন্টদের নিয়ে এই মর্মে উদ্বিগ্ন যে তার এজেন্টরা যথাযথভাবে তার পক্ষে কাজ না করার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, দলের ভেতরের লোকজনের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচন প্রশ্নে মতভেদ থাকার ফলে এমনটি ঘটতে পারে। উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাদের নিজ নিজ পক্ষে দুই হাজার ৭৬১ জন করে নির্বাচনী এজেন্টের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন। ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রে এসব এজেন্টের দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে।
এদিকে, বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার একটি পত্রিকাকে বলেছেন, কিছু দিন আগে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের মতো গাজীপুরেও তার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তা ছাড়া তিনি আরো বলেন, পুলিশ তার নির্বাচন সমন্বয়কারীদের বাড়িতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে, যাতে করে তারা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে থাকে। অপর দিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম একই পত্রিকাকে জানান, আওয়ামী নেতাকর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছেন। তবে এর পরও নেতাদের সাথে তার কিছু মতপার্থক্য রয়ে গেছে। জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, ‘তারা টঙ্গী এলাকার নির্বাচনী এজেন্টদের নিয়ে শঙ্কিত আছেন। কারণ, তারা সাবেক মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহর লোক।
এদিকে, বিএনপির জেলা নেতাদের অভিযোগÑ গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নির্বাচনী এজেন্ট প্রশ্নে ‘খুলনা নির্বাচনী’ কৌশল নিয়ে মাঠে নামছে। গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমগুলোর খবরে প্রকাশ। এসব অনিয়মের মধ্যে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে সিল মেরে বাক্সভর্তি করা, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, তাদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান ও অনিয়ম রোধে পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি অভিযোগ ওঠে ব্যাপকভাবে। এর ফলে সরকার ও ইসি নতুন করে যেন কলঙ্কতিলক কপালে ধারণ করল।
আমরা দেশের বিবেকবান মানুষের পাশাপাশি চাই, গাজীপুর মেয়র নির্বাচন হোক এসব যাবতীয় অনিয়মমুক্ত ও এর মাধ্যমে সরকার ও ইসির কলঙ্কতিলক মুছে যাক। এই নির্বাচন হোক সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের এক মডেল। বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ধরনের সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বশংবদ ইসির ভাবমর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য তা সমধিক গুরুত্ববহ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা