২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণা

সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন

-

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এই সিটি করপোরেশনে কতটা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ নির্বাচন আরো এক মাস আগে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সীমানাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার মামলার কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভোট জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার অসংখ্য অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দেয়া হয়েছিল। অনেক কেন্দ্রে বিরোধী দলের এজেন্টদের ঢুকতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি।
খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন দাবি করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তা বিশ্বাসযোগ্যতা পায়নি। এখন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন কমিশন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারে কি না তা দেখার বিষয়। লক্ষণীয় দিক হচ্ছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার কোনো ঘটনা এখন আর ঘটে না; কিন্তু নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের সম্ভাব্য এজেন্ট ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের ভয়ভীতি এমনকি গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছে। গাজীপুরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্বাচন কমিশন যদি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, তাহলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। গাজীপুরে বিরোধী দলের প্রার্থীদের জন্য পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের অভিযোগ অনেক পুরনো।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ত। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশন নিতে পারে। এ জন্য প্রথমে উচিত পুলিশ প্রশাসনে রদবদল আনা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভূমিকা পালনের সক্ষমতা না দেখাতে পারে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে তা দেখাতে পারবে, এমন আশা করা যায় না।
আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সবার সমান সুযোগ যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি বিরোধী দলের প্রার্থীরা যাতে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনÑ সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement